প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইউজিসি অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বলেছেন, করোনাভাইরাস নির্মূলে সরকার অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কিনেছে। এই টিকা উদ্ভাবন প্রযুক্তি পরীক্ষিত ও প্রমাণিত। এই টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে ভয় কিংবা দুশ্চিন্তার কিছু নেই। টিকা দিলেই যে আর কখনো করোনা হবে না, তা ভাবারও কারণ নেই। তাই স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
গতকাল তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সব টিকার কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। জ্বর, গায়ে ব্যথা, মাথাব্যথা, বমিবমি ভাব, গায়ে অ্যালার্জি ওঠা, টিকা দেওয়া জায়গা হালকা ফুলে যেতে পারে। এটা সাময়িক, দুই-তিন দিনেই টিকা গ্রহণকারী সুস্থ হয়ে যাবেন। কিন্তু বড় ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ার কারণ নেই। তাই ভয় না পেয়ে নিঃসংকোচে টিকা নিতে পারেন। সরকার প্রথম ধাপে ৬০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। এর মধ্যে ১৮ বছরের নিচে বয়সী শিশুরা টিকা পাবে না। গর্ভবতী নারী, মুমূর্ষু রোগী, প্রচ অ্যালার্জির সমস্যা আছে এমন ব্যক্তিরা টিকা কর্মসূচির বাইরে থাকবেন। বিভিন্ন কারণে শারীরিক প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, যেমন ক্যান্সারের রোগী যারা কেমোথেরাপি কিংবা রেডিও থেরাপি নিচ্ছেন তাদের আপাতত টিকা দেওয়া হবে না। সব মিলিয়ে প্রায় ৭ কোটি মানুষ টিকা পাবে না। তাই শিশু ও রোগীদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে।
অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ আরও বলেন, টিকা দিলেও তার কার্যকারিতা কতদিন থাকবে সে বিষয়ে এখনো গবেষণা হয়নি। তাই এই এন্টিবডি শরীরে কতদিন কার্যকর থাকবে তা চিন্তার বিষয়। এ জন্য বারবার হাত ধুতে হবে, বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করতে হবে। সতর্ক থাকলে সুস্থ থাকবেন।
