মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ১০ মাস পর মন্ত্রিসভার বৈঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে প্রায় ১০ মাস পর মন্ত্রিসভা বৈঠকে সশরীরে অংশ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল জাতীয় সংসদের মন্ত্রিসভা কক্ষে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এজেন্ডা সংশ্লিষ্ট ছয়জন মন্ত্রী ও ছয়জন সচিব অংশ নিয়েছেন। বৈঠকে ট্যুর অপারেটরদের কার্যক্রমকে পর্যটকবান্ধব এবং এসব প্রতিষ্ঠানের সার্বিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে ‘বাংলাদেশ ট্যুর অপারেটর (নিবন্ধন ও পরিচালনা) আইন, ২০২১’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দেশে বা বিদেশে ট্যুর অপারেটররা কোনো গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করলে অভিযুক্ত ট্যুর অপারেটরকে অনধিক ছয় মাসের জেল বা অনধিক ২ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এই আইনের শাস্তি প্রয়োগ করারও বিধান রাখা হয়েছে। মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সচিবালয়ে করা ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ট্যুর অপারেটরদের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য দেশে প্রচলিত কোনো আইন না থাকায় অনেক সময় পর্যটকরা তাদের কাক্সিক্ষত সেবা থেকে বঞ্চিত হন। প্রস্তাবিত আইনটি পাস হলে পর্যটকরা উন্নত সেবা পাবেন। এ খাতের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান তাদের করণীয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। ফলে সম্ভাবনাময় এ খাতটি আরও ভালোভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবে। তিনি বলেন, নিবন্ধন প্রাপ্তির যোগ্যতা, প্রক্রিয়া, মেয়াদ এবং নিবন্ধন সনদ বাতিলের বিষয়ে খসড়া আইনে বিস্তারিত বলা হয়েছে। যেসব বিষয় নেই সেগুলো বিধির মাধ্যমে কভার করা হবে। প্রস্তাবিত আইনে নিবন্ধন সনদ ছাড়া ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইড পরিচালনা করা যাবে না। আইনটি জাতীয় সংসদে পাস হলে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প বিকাশের ট্যুর অপারেটরদের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা যাবে বলে মনে করছে সরকার। গতকালের মন্ত্রিসভায় ‘জাহাজ নির্মাণ শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা-২০২১’ এর খসড়াও অনুমোদন পেয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বিশ্বের কিছু উন্নত দেশ জাহাজ নির্মাণ শিল্প থেকে বের হয়ে আসছে। এখন দুবাইতে কিছু কারখানা গড়ে উঠছে। আমাদের দেশের কিছু কারখানাও এই খাতে সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। তিনি বলেন, এ কারণে সরকার এই খাতে বড় সহযোগিতা করতে চায়। যাতে ২০২৫ সালের মধ্যে জাহাজ রপ্তানি আয় বছরে ৪ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা সম্ভব হয়। বাংলাদেশ বর্তমানে এই খাত থেকে ১ বিলিয়ন ডলার আয় করে। নীতিমালার মূল লক্ষ্য তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহনের চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে দেশীয় জাহাজ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন, বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্পকে বিশ্ব জাহাজ নির্মাণ শিল্পের উপযুক্ত অংশীদার হিসেবে গড়ে তোলা হবে এই নীতিমালার লক্ষ্য। এ ছাড়াও মন্ত্রিসভায় ‘বয়লার আইন, ২০২০’-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর