মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

ভারতের পদ্মশ্রী সম্মাননা পেলেন সন্জীদা খাতুন ও কাজী সাজ্জাদ জহির

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

ভারতের পদ্মশ্রী সম্মাননা পেলেন সন্জীদা খাতুন ও কাজী সাজ্জাদ জহির

ভারত সরকারের চতুর্থ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত হলেন বাংলাদেশের প্রথিতযশা সংস্কৃতিজন ছায়ানট সভাপতি সন্জীদা খাতুন ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির বীরপ্রতীক। গতকাল ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের এক মহীরুহ সন্জীদা খাতুন। তিনি একাধারে রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী, লেখক, গবেষক, সংগঠক, সংগীতজ্ঞ ও শিক্ষক। তিনিই এ দেশে রমনার বটমূলে পয়লা বৈশাখ উদ্যাপনের প্রবর্তন করেন। এ ছাড়া তিনি জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদেরও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। তার হাত ধরেই এ দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে জাগরণের সৃষ্টি হয় এবং বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়। দেশের সব সামাজিক সাংস্কৃতিক আন্দোলনে তিনি রয়েছেন সামনের কাতারে। এর আগে তিনি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, রবীন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার (পশ্চিমবঙ্গ, ভারত) দেশিকোত্তম পুরস্কারসহ (পশ্চিমবঙ্গ, ভারত) বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। ১৯৮৮ সালে কলকাতার টেগোর রিসার্চ ইনস্টিটিউট তাকে ‘রবীন্দ্র তত্ত্বাচার্য’ উপাধিতে ভূষিত করে। অন্যদিকে লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন বীর সেনানী। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে বীরপ্রতীক খেতাবে ভূষিত করে। ১৯৭১ সালে প্রশিক্ষণরত অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে আগস্ট মাসের শেষে তিনি পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। এর আগে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পদক’-এ ভূষিত হন কাজী সাজ্জাদ আলী জহির। ১৯৫৪ সাল থেকে প্রতিবছর ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণ এবং পদ্মশ্রী পুরস্কার দেওয়া হয়ে থাকে। ব্যক্তিবিশেষ এবং সংগঠনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য ও ব্যতিক্রমী সাফল্যগুলোর স্বীকৃতি জানানো হয় এই পুরস্কারগুলোর মাধ্যমে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর