অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংসদে জানিয়েছেন, দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে (অক্টোবর ২০২০ পর্যন্ত) খেলাপি ঋণগ্রহীতা ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৯৮২ জন। ১০০ কোটি টাকার খেলাপি গ্রাহকদের কাছ থেকে ঋণ আদায়ে তদারকি বৃদ্ধির জন্য ব্যাংকগুলোকে মনিটরিং সেল গঠনে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঋণ আদায় উৎসাহিত করতে পরিশোধিত সুদের ওপর ঋণগ্রহীতাদের রিবেট প্রদানের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। আবার প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত খেলাপি গ্রাহকদের সহজ শর্তে ঋণ পুনঃতফসিল ও এককালীন এক্সিটের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া খেলাপি মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করতে অভিজ্ঞ আইনজীবী নিয়োগসহ বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে আদালতের বাইরে বিরোধ নিষ্পত্তি করে ঋণ আদায় হচ্ছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের একাদশ তথা শীতকালীন অধিবেশনে গতকাল টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তরে সরকারদলীয় এমপি অসীম কুমার উকিলের (নেত্রকোনা-৩) প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।
অর্থ পাচার অনেকাংশে কমে যাবে : এ কে এম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, দেশ থেকে অবমূল্যায়ন বা অতিমূল্যায়নের মাধ্যমে অর্থ পাচারের কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এটি খতিয়ে দেখছে। যেসব ক্ষেত্রে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে সেখানে আইনানুগ ব্যবস্থা চলমান রয়েছে। এ সময় অর্থ পাচার বন্ধে সরকারের নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, এসব পদক্ষেপের ফলে বৈদেশিক মুদ্রা বা অর্থ পাচার অনেকাংশে কমে যাবে।
করোনার টিকার জন্য বরাদ্দ ১ হাজার ৪৫৫ কোটি : মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, করোনার টিকা কেনার জন্য এ পর্যন্ত ১ হাজার ৪৫৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।রাজস্ব আদায়ে অর্জন ৩২.৮৭ শতাংশ : জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারীর প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, ২০২০-২১ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে ১ লাখ ৮ হাজার ৪৭১ কোটি ৭১ লাখ টাকা। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় অর্জন ৩২.৮৭ শতাংশ।