বুধবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

সিরিজ বৈঠকে বাংলাদেশ-ভারত

দিল্লিতে কাল কনস্যুলার ডায়ালগ, শুক্রবার পররাষ্ট্র সচিবদের বৈঠক ফেব্রুয়ারিতে হবে স্বরাষ্ট্র, পানি ও বাণিজ্য সচিবদের বৈঠক

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

সিরিজ বৈঠকে বাংলাদেশ-ভারত

দ্বিপক্ষীয় বৈঠক উপলক্ষে আগামীকাল নয়াদিল্লি যাচ্ছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। শুক্রবার সেখানে বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্র সচিবদের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। পররাষ্ট্র সচিবদের বৈঠকের আগে বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে কনস্যুলার ডায়ালগে বসতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারত। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগামী মার্চে প্রস্তাবিত ঢাকা সফরের আগে আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করতে যাচ্ছে প্রতিবেশী দুই দেশ। ফেব্রুয়ারির বিভিন্ন সময়ে একে একে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে স্বরাষ্ট্র, পানি ও বাণিজ্য সচিবদের। ইতিমধ্যেই হয়েছে বিদ্যুৎ সচিবদের বৈঠক। আগামী মাসে মন্ত্রী পর্যায়ের সফর বিনিময়ও হতে পারে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক সূত্রগুলো। সূত্র জানায়, মার্চের শীর্ষ বৈঠককে প্রাধান্য দিয়ে আলোচনা হবে পররাষ্ট্র সচিবদের বৈঠকে। পাশাপাশি ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সামিট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিশনের বৈঠকের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের বাস্তবায়নের পর্যালোচনা হবে। এ ছাড়া দুই দেশের মধ্যে সব ইস্যুই স্থান পাবে আলোচনায়। এজেন্ডায় থাকবে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কানেকটিভিটি, ইনফরমেশন টেকনোলজি, লাইন অব ক্রেডিটসহ সব ইস্যুই। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বরাবরের মতোই তিস্তা নদীর পানি বণ্টন ও সীমান্ত সংক্রান্ত সমস্যা বিষয়গুলো উত্থাপন করা হবে। আলোচনা হবে অন্য নদীর পানি বণ্টন নিয়েও।

অন্যদিকে, দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ-ভারত কনস্যুলার ডায়ালগে দুই দেশের জনগণের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা হবে। সংলাপে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস; অন্যদিকে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে থাকছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব সঞ্জয় ভট্টাচার্য। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, এ সংলাপে ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছায় সীমান্ত পাড়ি দেওয়া বিশেষ করে জলসীমা লঙ্ঘন, গুরুতর অপরাধ সংঘটন কিংবা পাচারের শিকার হয়ে জেলে থাকা উভয় দেশের নাগরিকদের ফেরানোর প্রক্রিয়া সহজীকরণ, ভিসা শর্তভঙ্গ বা ভিসার মেয়াদের অতিরিক্ত অবস্থান করার জরিমানা বিষয়ে আলোচনা হবে। বৈঠকে পাচারের শিকার এবং ছোটখাটো অপরাধে উভয় দেশে আটকে থাকাদের দ্রুত ফেরানোর বিষয়ে একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেশন প্রসিডিউর বা এসওপি চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া কোনো কারণে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও অবস্থান করলে সব ধর্মের মানুষের জন্য অভিন্ন জরিমানা আদায় নিশ্চিতকরণ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে। এ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভারতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সব স্থলবন্দর খুলে দেওয়ার বিষয়ে ভারতকে অনুরোধ করবে বাংলাদেশ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর