আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিষয়ে সরকারের অবস্থান একেবারে পরিষ্কার। বাংলাদেশে যারাই মানবাধিকার লঙ্ঘন করবে তাদেরই আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে। গতকাল ‘বঙ্গবন্ধু ও মানবাধিকার’ শীর্ষক এক রচনা প্রতিযোগিতায় ভার্চুয়াল পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত এ রচনা প্রতিযোগিতায় নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ৫২ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি প্রমুখ বক্তৃতা করেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত হন।

আইনমন্ত্রী বলেন, শিশু বয়সেই বঙ্গবন্ধুর চরিত্রের মধ্যে পরোপকারী বৈশিষ্ট্য ও মানবিক গুণাবলি ফুটে ওঠে। কোনো অসহায় লোক তাঁর কাছ থেকে সাহায্য চেয়ে পাননি এমন নজির নেই। মানুষের দুঃখ-কষ্টে আমৃত্যু বঙ্গবন্ধুর মন কেঁদেছে। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘ কর্তৃক মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্রের প্রতি সম্মান জানিয়ে মানবাধিকারকে রাষ্ট্র পরিচালনার অন্যতম মূলনীতি হিসেবে ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের মূল চেতনা হচ্ছে স্বাধিকার, সুশাসন আর বৈষম্য বিলুপ্তির মাধ্যমে দারিদ্র্য দূর করা।

তিনি বলেন, বিচারপ্রাপ্তির অধিকার মানবাধিকারের একটি অংশ। তাই জনগণ যাতে বিচারপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে বঞ্চিত না হয়, সে জন্য সরকার বিচার কার্যক্রমকে অনলাইনের আওতায় আনতে করোনা মহামারী শুরু হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই সংসদে আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২০ প্রণয়ন করায়। ফলে করোনার প্রকোপ যখন খুব বেশি তখনো বাংলাদেশের সব আদালত বিচারকাজ সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছে।