মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা
কী হবে রোহিঙ্গা ফেরতের

আশঙ্কা করছি দীর্ঘায়িত হবে

হুমায়ুন কবির

জিন্নাতুন নূর

আশঙ্কা করছি দীর্ঘায়িত হবে

ব্যক্তিগতভাবে নাগরিক সমাজের সাধারণ মানুষ হিসেবে আমি চাই মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকুক। সে জায়গায় এ ধরনের সামরিক অধিগ্রহণ বাঞ্ছনীয় নয়। আমি মনে করি এটা প্রত্যাশিতও নয়। তবে এটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। আমাদের দিক থেকে যেটি আশঙ্কার বিষয় তা হচ্ছে মিয়ানমারের এই অভ্যন্তরীণ ঘটনার ফলে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের বিষয়টি দীর্ঘায়িত হবে। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব কথা বলেন। হুমায়ুন কবির বলেন, এই মুহূর্তে মিয়ানমার সরকার বা সামরিক সরকার নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিষয় ও বাহ্যিক চাপ সামাল দিতেই বেশি ব্যস্ত থাকবে। কাজেই তাদের জন্য রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন এই মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ নাও হতে পারে। আপাতদৃষ্টিতে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টি একটু দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। সাবেক এই রাষ্ট্রদূত বলেন, তবে রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের নতুন সরকারের অবস্থান কী হবে সেটা এই মুহূর্তে বলা মুশকিল। এ বিষয়টি উভয় দিকেই যেতে পারে। বিষয়টির ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় দিকেই যাওয়ার সুযোগ আছে। অবস্থা কোনদিকে যায় তা বুঝতে হলে আমাদের এখন অপেক্ষা করতে হবে। এই মুহূর্তে এ বিষয়ে কিছু বলা দুষ্কর। তিনি বলেন, মিয়ানমারের সাম্প্রতিককালে অর্থাৎ গত পাঁচ বছরে দুই ধরনের সরকার ছিল। এর একটি সু চি দ্বারা পরিচালিত হতো আর পেছন থেকে ক্ষমতা চালাত সামরিক বাহিনী। বিশেষ করে রোহিঙ্গা ইস্যুতে সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ অনেক বেশি ছিল তা স্পষ্ট। কারণ রোহিঙ্গাদের অত্যাচার ও নির্যাতন দেশটির সামরিক বাহিনীই করেছিল। রোহিঙ্গা ইস্যুতে সবচেয়ে বেশি জড়িত ছিল মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। আর সু চির কাজ ছিল সামরিক বাহিনীর কাজ হালাল করা। তিনি বলেন, আপাতদৃষ্টিতে মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণের বিষয়টি আমাদের জন্য উদ্বেগের। তবে এই জায়গায় এখনই কোনো উপসংহারে যাওয়া যাবে না। এর আগে যে দুবার রোহিঙ্গারা এসেছিল তখনো এর পেছনে সামরিক বাহিনীর ভূমিকা ছিল। সে সময়ও দেশটির সামরিক বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করে আমরা এর সমাধান করেছি। কাজেই এবারও আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করা আর এজন্য দেশটিতে যে সরকারই থাকুক না কেন আমরা চাইব রোহিঙ্গারা নিরাপদে এবং সম্মানের সঙ্গে মিয়ানমারে ফিরে যাক। আপাতত অবস্থা পর্যবেক্ষণ করাই হবে আমাদের কাজ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর