মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর মৃত্যু

জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্কের আলামত পাওয়া যায়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক

মারা যাওয়া ইউল্যাবের ছাত্রীর লাশ ময়নাতদন্তে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্কের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তবে সন্দেহ করা হচ্ছে বিষাক্ত মদপানে তার মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য শরীরের বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

গতকাল এ তথ্য জানিয়েছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ও সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সেলিম রেজা।

এদিকে ইউল্যাবের ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যার মামলায় তার দুই বন্ধু ৫ দিনের রিমান্ডে রয়েছে। রবিবার ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া তাদের রিমান্ডের আদেশ দেন। মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ, ওই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় অজ্ঞাত একজনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন ওই ছাত্রীর বাবা। মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, গত ২৮ জানুয়ারি বিকাল ৪টায় মর্তুজা রায়হান ওই তরুণীকে নিয়ে মিরপুর থেকে আরেক আসামি আরাফাতের বাসায় যান। আরাফাতের বাসায় স্কুটার রেখে আরাফাত, ওই তরুণী ও রায়হান একসঙ্গে উবারে করে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ব্যাম্বুসুট রেস্টুরেন্টে যান। সেখানে আগে থেকেই আরেক আসামি নেহা এবং একজন সহপাঠী উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আসামিরা ওই তরুণীকে জোর করে ‘অধিক মাত্রায়’ মদপান করান। মদপানের একপর্যায়ে ভুক্তভোগী তরুণী অসুস্থ বোধ করলে রায়হান তাকে মোহাম্মদপুরে তার এক বান্ধবীর বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে নেহার বাসায় নিয়ে যান। রাতে ওই তরুণী অসুস্থ হয়ে বমি করলে রায়হান তার আরেক বন্ধু অসিম খানকে ফোন দেন। সেই বন্ধু পরদিন এসে তরুণীকে প্রথমে ইবনে সিনা ও পরে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করেন। দুদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর রবিবার ওই তরুণী মারা যান।

সর্বশেষ খবর