মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বে বিকল্প খোঁজার অপচেষ্টা শুরু হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বে বিকল্প খোঁজার অপচেষ্টা শুরু হয়েছে

মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান

সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান বলেছেন, বিএনপিতে ভাঙন তথা দলকে বেকায়দায় ফেলার অপচেষ্টা চলছে। দলের শীর্ষ নেতৃত্বে বিকল্প খোঁজার একটি অপচেষ্টা শুরু হয়েছে। এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তিনি বলেন, বিগত ওয়ান-ইলেভেনের সরকারের প্ররোচনায় তখন বিএনপিকে খন্ডিত করার অপচেষ্টায় দলের অনেক ডাকসাইটে নেতা জড়িত ছিলেন। সেই অপতৎপরতা এখনো অব্যাহত রয়েছে। 

গতকাল বিকালে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে ফোনালাপে তিনি এ কথা বলেন। আলাপচারিতায় বিএনপির সাবেক এ এমপি বলেন, রাজনীতিতে কথিত নতুন তৎপরতা নিয়ে বিএনপির টেনশনের কিছু নেই। রাজনীতিতে কখনো কখনো নতুন মেরুকরণ হয়েই থাকে। পুরনো নেতাদের নতুন ভাবনা, নিজের অস্থিত্ব জানান দেওয়া কিংবা সরকারের ভয়-ভীতির কারণে বিভিন্ন নেতার পক্ষচ্যুত বা উচ্চাকাক্সক্ষা পূরণে দলের ভিতরে-বাইরে নানা ধরনের অস্থিরতার সৃষ্টি হয়। এতে মূল দলের ক্ষতির চেয়ে দলীয় ঐক্য এবং নেতৃত্বের প্রতি নেতা-কর্মীদের আস্থা ও পারস্পরিক সম্পর্ক আরও বেড়ে যায়।  মেজর (অব.) আখতার বলেন, সম্প্রতি ধানমন্ডির একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে দোয়া মাহফিলের পরে অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল এবং কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহম্মাদ ইবরাহিমের মিডিয়াতে দেওয়া বক্তব্য নিয়ে বেশ মুখরোচক আলোচনা হচ্ছে। সেই দোয়া মহফিলে যদিও আমাকে কোনো দাওয়াত দেওয়া হয়নি এবং আমিও ওই দোয়া মহফিলে যোগদান করিনি। দাওয়াত পেলে হয়তো যেতেও পারতাম। কারণ, জেনারেল ইবরাহিমের অধীনে সেনাবাহিনীর সদর দফতরে অনেক দিন চাকরি করেছি। আখতারুজ্জামান বলেন, জেনারেল ইবরাহিমের সঙ্গে আমার রাজনৈতিক আদর্শ ও মতের অনেক পার্থক্য থাকলেও তিনি আমার ব্যক্তিগত ও পরিবারের অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্ব। কাজেই তার সঙ্গে আমার দেখা সাক্ষাৎ, আলোচনা, পর্যালোচনা সবসময়ই এবং সব বিষয়েই হতে পারে। তাই সেদিন তার দোয়া মহফিলে আমার না যাওয়ার কোনো কারণ ছিল না। তবে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় এসেছে, সেদিনের দোয়া মহফিলে নাকি আমি উপস্থিত ছিলাম এবং বক্তৃতাও নাকি দিয়েছিলাম! সংবাদটি সত্য নয়।

সর্বশেষ খবর