শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

মিরাজের সেঞ্চুরিতে উজ্জ্বল দ্বিতীয় দিন

ক্রীড়া প্রতিবেদক

মিরাজের সেঞ্চুরিতে উজ্জ্বল দ্বিতীয় দিন

ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শুরুতে নিজেকে প্রথমে ব্যাটসম্যান এবং পরে স্পিনার বলতেই পছন্দ করতেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ২০১৬ সালে যুব বিশ্বকাপে চারটি হাফ সেঞ্চুরি তার কথার প্রমাণ করেছিল। সফল একটি যুব বিশ্বকাপের পর একই বছর ঘরের মাঠে মূল দলের পক্ষে খেলতে নামেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকের পর আর ব্যাটসম্যান হয়ে ওঠা হয়নি মিরাজের। ২ টেস্টে ১৯ উইকেট নিয়ে নিজেকে একজন ম্যাচ উইনার স্পিনার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। যদিও তার ব্যাটিং সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন ওঠেনি কখনো। যখনই সুযোগ পেয়েছেন সামর্থ্যরে সর্বোচ্চটা ঢেলে প্রত্যয়ী ব্যাটিং করেছেন। চট্টগ্রামে গতকালও লেট অর্ডারে ব্যাটিং করেন। সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল, লিটন দাস, মুমিনুল হকরা যা পারেননি ৮ নম্বরে ব্যাট করে সে কাজের কাজটিই করেছেন মেহেদি মিরাজ। সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের বিপক্ষে বুক উঁচিয়ে লড়াই করে নিজের স্বপ্ন পূরণ করেন। খেলেন ৩ অঙ্কের একটি জাদুকরী ইনিংস; যা তার ২৩ টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি। তার ১০৩ রানের ইনিংসে ভর করে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ ৪৩০। ব্যাটসম্যান মিরাজের দিনে টেস্টের নিয়ন্ত্রণে বসেছে মুমিনুল হকের বাংলাদেশ। স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের চাপে দিশাহারা ক্যারিবীয়রা দ্বিতীয় দিন শেষ করেন ২ উইকেটে ৭৫ রান তুলে। গত বছরের ফেব্রুয়ারির পর ফের সাদা পোশাকে খেলতে নামেন টাইগাররা। করোনাভাইরাসে থেমে যাওয়া গত বছরটি মুমিনুলরা শেষ করেছিলেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট খেলে। নতুন বছরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছেন ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে খেলতে নেমে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টাইগাররা ফিরেছেন ওয়ানডে সিরিজ জয়ের আস্বাদ নিয়ে। সে ধারাবাহিকতায় টেস্ট সিরিজ খেলছেন। প্রথম দিন ধীরলয়ে ব্যাটিং করে ৫ উইকেটে ২৪২ রান তোলেন। গতকাল দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান সাকিব ও লিটন বড় স্কোর গড়ার স্বপ্ন নিয়ে শুরু করেন। কিন্তু দিনে তৃতীয় ওভারে লিটন ফিরে গেলে ধাক্কা খান স্বাগতিকরা। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন মিরাজ। দিনটিকে নিজের করে নেন সেঞ্চুরি করে। অথচ সেঞ্চুরির আশা জাগিয়েছিলেন এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা সাকিব। কিন্তু ৬৮ রানের বেশি করতে পারেননি হঠাৎ মনোযোগ হারিয়ে। ৮ নম্বর পজিশনে সেঞ্চুরি করাটা খুবই কঠিন। সে কাজটি করেছেন মিরাজ অষ্টম উইকেট জুটিতে তাইজুলের সঙ্গে ৪৪ ও নাইমের সঙ্গে নবম উইকেট জুটিতে ৫৭ রান যোগ করে। তিনি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটি করেন ১৬০ বলে। ১৬৮ বলের ইনিংসটিতে ছিল ১৩টি চার। ৮ নম্বর পজিশনে অবশ্য মিরাজই প্রথম টাইগার ক্রিকেটার হিসেবে সেঞ্চুরি করেননি। ২০০৪ সালে গ্রস আইলেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খালেদ মাসুদ পাইলট ১০৩ রানের অপরাজিত ইনিংস, ২০১০ সালে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ হ্যামিলটনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১১৫ ও ২০১৩ সালে চট্টগ্রামে সোহাগ গাজী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১০১ রানে অপরাজিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর