শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দোটানায় সাধারণ মানুষ

মোশাররফ হোসেন বেলাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দোটানায় সাধারণ মানুষ

সারা দেশের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়ও আনুষ্ঠানিকভাবে করোনাভাইরাসের টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হবে। কিন্তু সাধারণ মানুষ রয়েছে দোটানায়। জানা গেছে, টিকা প্রদানের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। প্রথম ধাপে করোনার সম্মুখসারির যোদ্ধাদের টিকা দেওয়া হবে। আগামীকাল উদ্বোধনের দিন প্রথম কে টিকা নেবেন তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ। সম্মুখসারির যোদ্ধাদের টিকা প্রদান শেষে সব জনগোষ্ঠীর জন্য টিকা উন্মুক্ত করা হবে বলে জানান তিনি। তবে মহামারী প্রতিরোধে বহুল কাক্সিক্ষত এ টিকা নিয়ে খুব একটা আগ্রহ নেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষের মধ্যে। বয়োজ্যেষ্ঠদের ধারণা, করোনা মোকাবিলায় টিকা নিতে হবে না। এমনিতেই এ ভাইরাস চলে যাবে। কেউ কেউ টিকা নিতে আগ্রহী হলেও কোথায় এবং কীভাবে টিকা নিতে হবে সে সম্পর্কে জানেন না তারা। এ ছাড়া অনেকে টিকা গ্রহণের জন্য অনলাইনে নাম নিবন্ধন করা নিয়েও বিড়ম্বনায় পড়েছেন। টিকাগ্রহীতা নিজে নিবন্ধন না করে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে নাম নিবন্ধনের ব্যবস্থা করার জন্য দাবি জানিয়েছেন অনেকে। সদর উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের বৃদ্ধ হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আমি টিকা নেব না। দুনিয়ায় রাখলে আল্লাহ এমনিতেই রাখবে।’ নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় গ্রামের ফরিদ মিয়া বলেন, ‘সরকার আমাদের জন্য অনেক কষ্ট করে টিকা এনেছে। আমরা অবশ্যই টিকা নেব।’ জেলা সদরের বাসিন্দা মো. হানিফ জানান, টিকা নেওয়ার জন্য কীভাবে নিবন্ধন করতে হবে তা তিনি জানেন না। বিজয়নগর উপজেলার নলগরিয়া গ্রামের আবদুর রাজ্জাক ভূইয়া বলেন, সবারই টিকা নেওয়া দরকার। সিভিল সার্জন মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, ‘টিকা গ্রহণের জন্য ওয়েবসাইটে নাম নিবন্ধন প্রক্রিয়াটা খুবই সহজ। এ ছাড়া সুরক্ষা অ্যাপ তৈরির কাজও চলছে। অ্যাপটি এলে নিবন্ধন প্রক্রিয়া আরও সহজ হবে। করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে অনেকের ভ্রান্ত ধারণা থাকায় আতঙ্ক ছিল। তবে এ বিষয়ে আমাদের সচেতনতা বাড়াতে হবে। সাধারণ মানুষের বিভ্রান্তি দূর করতে আমরা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে তথ্য প্রচার করি।’ উল্লেখ্য, ২৯ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাসের ১ লাখ ৮ হাজার ডোজ টিকা পৌঁঁছেছে। টিকাগুলো জেলা সদরের মেড্ডা এলাকার ইপিআই ভবনের কোল্ড স্টোরেম রাখা আছে। টিকাদানের জন্য জেলা সদরে আট ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোয় দুটি করে টিম গঠন করা হয়েছে। প্রতি টিমে দুজন টিকাদান কর্মী ও চারজন স্বেচ্ছাসেবী রয়েছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর