অভ্যুত্থানের কারণ জানিয়ে মিয়ানমারের নতুন সামরিক সরকার চিঠি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, তারা একটি চিঠি দিয়েছে আমাদের রাষ্ট্রদূতকে এবং সেখানে তারা বলেছে কী কারণে তারা টেকওভারটা করেছে। এর পরে আমরা আর কোনো তথ্য পাইনি। তারা বলছে, ১০ দশমিক ৪ মিলিয়ন ভুয়া ভোট হয়েছে, ভুয়া ভোটের কারণে তাদের দায়দায়িত্ব আছে এটাকে শোধরানোর। গতকাল ঢাকায় এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি এসব কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, আমাদের কাছে খবর এসেছে, নতুন মিলিটারি কমান্ডাররা রাখাইনে যেসব রোহিঙ্গা আছে, তাদের ক্যাম্পে গিয়েছিলেন এবং ওদের মুরব্বিদের সঙ্গে আলাপ করেছেন। তখন ওরা তাদের অভিযোগের কথা বলেছে যে, তারা চলাফেরা করতে পারে না। তখন নতুন সরকার বলেছে, আমরা আস্তে আস্তে তোমাদের অবস্থার পরিবর্তন করব। ধাপে ধাপে তোমাদের অবস্থার পরিবর্তন হবে। এগুলো শুনে কক্সবাজার ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা ‘খুব খুশি’ জানিয়ে তিনি বলেন, আর্মি তাদের অভয় দিয়েছে। এ জন্য তারা খুশি। এগুলো ভালো সংবাদ। নতুন শুরু। তবে রাখাইনের ক্যাম্পে সেনাবাহিনী যাওয়ার খবর এখনো সরকারিভাবে আসেনি বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আলজাজিরার ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার্স মেন’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৫ বছরের রাজনৈতিক জীবনে কোনো দিন কোনো বডিগার্ড ছিল না। বডিগার্ড ছিলেন সব নেতা-কর্মী। কোনো দিন আমরা দেখিনি উনি পয়সা দিয়ে বডিগার্ড রেখেছেন। ওখানে (আলজাজিরার প্রতিবেদনে) বলা হয়েছে, ওনার দুই বডিগার্ড। এটা মিথ্যা তথ্য। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমার পেছনে অনেকজন দাঁড়িয়েছেন, আমরা তাদের সবাইকে চিনি না। আমিও যখন বক্তৃতা দিই, আমার পেছনে বহু লোক দাঁড়ায়। আমি তাদের খুব কম লোককেই চিনি। তিনি বলেন, আলজাজিরা অনেক ক্রেডিবিলিটি হারিয়ে ফেলেছে। এ ধরনের বানোয়াট, টেকনিক্যালি জোড়াতালি দিয়ে করেছে, যাতে তাদের গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। দেশবাসী এর আগে অনেক কারসাজি দেখেছে, এখন টেকনোলজির ফলে কাটছাঁট করা অনেক সহজ। যেখানে তথ্যগত ভুল আমরা তুলে ধরব এবং মামলা করব। ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে ‘মুজিব শতবর্ষে এক্সিম ব্যাংক’ শীর্ষক কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মুজিব শতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
