মাঠপর্যায় থেকে উচ্চপর্যায় পর্যন্ত দুর্নীতি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তিনি বলেন, দুর্নীতি সভ্যতার প্রাচীনতম অপরাধের একটি সামাজিক ব্যাধি। এ অপরাধ বৈশ্বিক। তবে মাত্রার তারতম্য রয়েছে। বাংলাদেশে দুর্নীতির ব্যাপকতা রয়েছে এ কথা অস্বীকার করা সমীচীন হবে না। দুর্নীতি রোধে সমন্বিত প্রয়াস প্রয়োজন। গতকাল দুদকের প্রধান কার্যালয়ের কনফারেন্স লাউঞ্জে বার্ষিক প্রতিবেদন-২০১৯ প্রকাশ উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় ভার্চুয়ালি অংশ নেন ইকবাল মাহমুদ।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শিক্ষা-স্বাস্থ্য, অবকাঠামো, সরকারি পরিষেবা সর্বোপরি মানুষের জীবনমান উন্নয়নের প্রতিটি সূচকে দুর্নীতির নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। এ থেকে পরিত্রাণের সংক্ষিপ্ত কোনো পথ হয়তো নেই। তবে কোনোভাবেই দুর্নীতির কাছে পরাজিত হওয়ার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, দুদকের করা মামলায় আসামিদের সাজার হারে সন্তুষ্ট নয় দুদক। যদিও বিগত পাঁচ বছরে সাজার হার ৩৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭৭ শতাংশে পৌঁছেছে। কমিশন প্রত্যাশা করে, মামলার সাজার হার হবে শতভাগ। দুদক সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নেন দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান এবং এ এফ এম আমিনুল ইসলাম। প্রতিবেদনটি রবিবার রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করা হয়।