বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

পি কে হালদারের পাঁচ সহযোগীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০ কোটি ৭০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও পাচারের অভিযোগে প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) পাঁচ সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ সোমবার সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন বলে দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানিয়েছেন। সাড়ে ৩ হাজার

কোটি টাকা আত্মসাৎ ও অর্থ পাচারের অভিযোগ নিয়ে বিদেশে পালিয়ে থাকা পি কে হালদার এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক। দুদকের মামলায় পি কে হালদারের আয়কর আইনজীবী সুকুমার মৃধা, তার স্ত্রী সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার (অপারেশন) তাপসী রানী শিকদার ও মেয়ে অনিন্দিতা মৃধা ছাড়াও পি কে হালদারের সহযোগী দুই ভাই অসীম কুমার মিস্ত্রি ও স্বপন কুমার মিস্ত্রিকে আসামি করা হয়েছে। এর আগে মামলার আসামি অসীম কুমার মিস্ত্রিকে সোমবার বিকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। অন্যদিকে পি কে হালদারের অবৈধ সম্পদ অর্জন ও পাচারের অভিযোগে এক মামলায় জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়ে ২১ জানুয়ারি সুকুমার মৃধা ও তার মেয়ে অবন্তিকা মৃধাকে গ্রেফতার করেছে দুদক।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশ-বিদেশে অবৈধ পন্থায় নিজ নামে ও অন্যদের নামে বেনামে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২০ কোটি ৭০ লাখ ৮ হাজার ৮৫০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। একই সঙ্গে আসামিদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ ভারতসহ বিভিন্ন দেশে পাচার করার অভিযোগ আনা হয়েছে। পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নানা কৌশলে নামেবেনামে অসংখ্য কোম্পানি খুলে শেয়ারবাজার থেকে বিপুল পরিমাণ শেয়ার কেনেন এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ও পরে নিজের আত্মীয়-বন্ধু ও সাবেক সহকর্মীসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে পর্ষদে বসিয়ে অন্তত চারটি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নেন। এই চার কোম্পানি হলো ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (আইএলএফএসএল), পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি)। এসব কোম্পানি থেকে তিনি ঋণের নামে বিপুল অঙ্কের টাকা সরিয়ে বিদেশে পাচার করেছেন বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে। পি কে হালদারকে গ্রেফতারে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিস জারি করা হয়েছে। তার মা লীলাবতী হালদারসহ ২৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।

সর্বশেষ খবর