শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

করোনার নতুন ভ্যাকসিন আসছে এ বছরই

প্রতিদিন ডেস্ক

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়া অনেক বেশি গতিসম্পন্ন নতুন ধরনের করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এ বছরের মাঝামাঝিতেই আসছে নতুন ভ্যাকসিন। ব্রিটিশ-সুইডিশ প্রতিষ্ঠান ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট অ্যাস্ট্রাজেনেকা এ কথা জানিয়েছে। তারাই এ ভ্যাকসিন বাজারজাত করবে বলে উল্লেখ করেছে। দ্য গার্ডিয়ান, রয়টার্স। খবরে বলা হয়, এ বছরের দ্বিতীয়ার্ধেই করোনাভাইরাসের নতুন ধরন মোকাবিলায় সক্ষম ভ্যাকসিন বাজারে আসতে পারে বলে আভাস দিয়েছে ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট অ্যাস্ট্রাজেনেকা। ওই প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, নতুন ধরন শনাক্তের পরপরই তারা এ নিয়ে কাজ শুরু করেছিল। ছয় থেকে নয় মাসের মধ্যেই এর সুফল পাওয়া যেতে পারে। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বায়োফার্মাসিউটিক্যাল গবেষণার প্রধান মেনি প্যাঙ্গালোস গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, পরিবর্তিত ধরনগুলো নিয়ে কাজ আজকে শুরু হয়নি, এটি শুরু হয়েছে কয়েক সপ্তাহ বা মাস আগে। নতুন ধরনগুলোর জন্য পরবর্তী প্রজন্মের ভ্যাকসিন নিয়ে আমরা আগামী বসন্তেই (মার্চ থেকে মে) ক্লিনিকে থাকার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি। প্যাঙ্গালোস জানান, তিনি আশা করছেন, আগামী শরতেই (সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর) নতুন ধরনরোধী ভ্যাকসিন জনসাধারণের হাতে তুলে দেওয়া সম্ভব হতে পারে।

৮ থেকে ১২ সপ্তাহ বিরতিতে অক্সফোর্ডের টিকা বেশি কার্যকর :  করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) নতুন ধরন শনাক্ত হওয়া দেশগুলোতেও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকা ব্যবহারের সুপারিশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। টিকাটির দুই ডোজ নেওয়ার ক্ষেত্রে আট থেকে ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত বিরতি নেওয়ার কথা বলছেন সংস্থাটির বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, এতে টিকার কার্যকারিতা বাড়ে ও বেশি সুরক্ষা পাওয়া যায়। এর আগে ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতেই কেবল দুই ডোজের টিকার মধ্যে ছয় সপ্তাহের মতো বিরতি দেওয়ার সুপারিশ করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটি বলছে, ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রেও অক্সফোর্ডের তৈরি টিকা ব্যবহার করা যেতে পারে। কয়েকটি দেশ অবশ্য এই টিকা ৬৫-ঊর্ধ্বদের দেওয়ার বিরোধী। যুক্তরাজ্যে এই টিকার দুই ডোজের মধ্যে বেশি বিরতিতে ভালো কার্যকারিতার প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি করা হচ্ছে।

খবরে বলা হয়, অক্সফোর্ডের টিকাকে ‘বৈশ্বিক টিকা’ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ, টিকাটি দামে তুলনামূলক সস্তা, গণহারে উৎপাদন করা যায় এবং সাধারণ ফ্রিজের তাপমাত্রায় তা সংরক্ষণযোগ্য। তবে করোনার নতুন ধরনের ক্ষেত্রে এ টিকার কার্যকারিতা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এ ছাড়া তথ্যের স্বল্পতা থাকায় এটি বয়স্কদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে কি না বা দুটি ডোজের মধ্যে কত দিন বিরতি দিতে হবে, তা নিয়ে বিতর্ক চলছে। উল্লেখ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ পর্যন্ত তিনটি টিকার অনুমোদন দিয়েছে। সংস্থাটি সবার আগে মার্কিন বহুজাতিক ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজার ও জার্মান প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেকের তৈরি টিকার অনুমোদন দেয়। এরপর মার্কিন জৈবপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মডার্নার টিকার অনুমোদন দেওয়া হয়। সবশেষে অনুমোদন পায় অক্সফোর্ডের টিকা।

সর্বশেষ খবর