সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

বিএনপির ২৯ নেতা-কর্মী রিমান্ডে ফের দুই দিনের কর্মসূচি

নিজস্ব ও আদালত প্রতিবেদক

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপির সমাবেশের আগে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের মামলায় ২৯ নেতা-কর্মীকে দুই দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত। রাজধানীর শাহবাগ ও রমনা থানার পৃথক দুই মামলায় গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

এর আগে শাহবাগ থানার মামলায় ১৬ আসামিকে আদালতে হাজির করে প্রত্যেককে ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই গোলাম হোসেন। এ ছাড়া রমনা থানার মামলায় ১৩ আসামিকে আদালতে হাজির করে প্রত্যেককে সাত দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন এসআই সহিদুল ওসমান মাসুম। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে জামিন আবেদন নাকচ করে শাহবাগ থানার মামলায় ১৬ জনকে দুই দিন করে এবং রমনা থানার মামলায় ১৩ আসামিকে দুই দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত।

রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- শরিফ উদ্দিন ওরফে জুয়েল, ওবায়দুল্লাহ নাঈম, নাদিম হোসেন, আবদুর রশিদ, হোসেন মিয়া, আলামিন মোল্লা, মিল্টন শেখ, সানোয়ার, জহির, রুবেল, এবাদুল, হামিদুল ইসলাম, মহসিন, জাকির হোসেন, পারভেজ রেজা, খন্দকার মুজাহিদুল ইসলাম, সওগাতুল ইসলাম, মিনহাজুল হক নয়ন, শওকত উল ইসলাম, সজীব, শামীম রেজা, শাওন জমাদ্দার, ইমন শেখ, নজরুল ইসলাম, সাজ্জাদ, রহমান রানা,  মোস্তফা, মাহমুদুল হাসান ওরফে মাকসুদুল হাসান ও পলাশ মিয়া।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) প্রেস ক্লাবের সামনে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘বীরউত্তম’ খেতাব বাতিলের প্রস্তাবের প্রতিবাদে সমাবেশ ডাকে বিএনপি। এ দিন সকাল ১০টায় সমাবেশ শুরুর কথা থাকলেও অনেক আগে থেকেই নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন। সমাবেশকে ঘিরে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে গিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বাকবিতন্ডা ও সংঘর্ষে জড়ায় পুলিশ। এ সময় নেতা-কর্মীরা পুলিশের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয় এবং সমাবেশ প- হয়ে যায়। ফের দুই দিনের প্রতিবাদ কর্মসূচি বিএনপির : সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘বীরউত্তম’ খেতাব বাতিলের অপচেষ্টার প্রতিবাদে আবারও বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার বরিশাল বিভাগ ছাড়া সারা দেশে মহানগর ও জেলায় প্রতিবাদ সমাবেশের এই কর্মসূচি পালন করা হবে। পরদিন ১৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বরিশাল বিভাগের সব জেলা ও মহানগরে এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হবে। গতকাল বিকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির শনিবারের সভায় এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি গৃহীত দুই দিনের প্রতিবাদ সমাবেশে দল ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান ড. মোশাররফ। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে আরও কর্মসূচি আসবে বলেও জানান তিনি। খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকার আগুন নিয়ে খেলছে। এ খেলা বন্ধ না করলে হাত পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। তিনি বলেন, এই খেতাব কেউ দেয়নি, মরহুম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানসহ যারা এই খেতাব পেয়েছেন তারা প্রত্যেকে নিজের যোগ্যতায় অর্জন করেছেন। এই খেতাবের ওপর হাত দেওয়ার কোনো অধিকার কারও নেই। জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন থেকে জনগণের দৃষ্টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার সরকারি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আখ্যা দেন তিনি। করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন সম্পর্কে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. মোশাররফ বলেন, একটি সোর্সের ওপরে, একটি সাপ্লাইয়ের ওপরে আমাদের নির্ভর করা সমীচীন হচ্ছে না। কোনো দেশই শুধু একটি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান থেকে এই ভ্যাকসিন আনার ব্যবস্থা নেয়নি, তারা একাধিক সূত্র থেকে ভ্যাকসিন ক্রয়ের ব্যবস্থা নিয়েছে। তাই আমরা এখনো বলছি যে, আমাদের বিকল্প সোর্স যদি খোঁজা না হয়- তাহলে কিন্তু কিছুদিন পরে যে পরিমাণ ভ্যাকসিন আমাদের দেওয়া প্রয়োজন সরকারের পক্ষে সেই পরিমাণ ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হবে না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর