মাদকবিরোধী অভিযানকালে ট্রাক উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে মো. ইদ্রিস মোল্লা নামে এক র্যাব সদস্যের ওপর। গতকাল ভোরে মাদকবাহী ট্রাকটিকে র্যাব-১ গাজীপুরের পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের সামনে থেকে ধাওয়া করে ময়মনসিংহের ভালুকা এলাকায় গিয়ে ব্যারিকেড দেন মো. ইদ্রিস মোল্লা। এ সময় ট্রাকটি তাকে চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি। মো. ইদ্রিস মোল্লা (২৮) র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নে (র্যাব) কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার কেল্লাই গ্রামে। র্যাব-১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মুনির হাসানের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
র্যাব-১ জানায়, টঙ্গী থেকে ৩০ কেজি গাঁজা নিয়ে একটি মাদকের চালান গাজীপুরের মাওনা হয়ে ময়মনসিংহ যাচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের সামনে একটি চেকপোস্ট স্থাপন করে র্যাব-১। সন্দেহভাজন ট্রাকটিকে (ঢাকা মেট্রো-ড-১৪-৩৫৮১) চেকপোস্টে থামার জন্য ভোর সাড়ে ৬টার দিকে সংকেত দিলে তা অমান্য করে চলে যায়। এ সময় র্যাবের কনস্টেবল মো. ইদ্রিস মোল্লা ও সিনিয়র ডিএডি মো. গোলাম মোস্তফা মোটরসাইকেল নিয়ে ট্রাকটির পেছনে ধাওয়া করেন। ট্রাকটি বাগেরবাজার পৌঁছে চলন্ত অবস্থায় মোটরসাইকেলের সামনে গাঁজার একটি বস্তা রাস্তার ওপর ফেলে র্যাব সদস্যদের হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় মোটরসাইকেলের পেছনের আসনে বসা ডিএডি মো. গোলাম মোস্তফা গাঁজা রাস্তা থেকে সংগ্রহ করে ওই স্থানে অবস্থান করতে থাকেন। ডিএডি মো. গোলাম মোস্তফাকে রেখে মোটরসাইকেলে মো. ইদ্রিস মোল্লা একাই ট্রাকটিকে অনুসরণ করেন। তার পেছনে র্যাবের একটি মাইক্রোবাস ট্রাকটির পিছু নেয়। মোটরসাইকেল নিয়ে মো. ইদ্রিস মোল্লা গাজীপুর পার হয়ে ময়মনসিংহের ভালুকার দিকে কোকাকোলা ফ্যাক্টরির বিপরীতে এসে ট্রাকটির গতি রোধ করেন। মাদক বহনকারী ট্রাকটির চালক না থামিয়ে মো. ইদ্রিস মোল্লাকে চাপা দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এতে ঘটনাস্থলেই মো. ইদ্রিস মোল্লা নিহত হন এবং তার মোটরসাইকেলটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। পরে ঘাতক ট্রাকটি ময়মনসিংহের ভালুকার সিড স্টোর এলাকা থেকে আটক করা হয়। তবে চালক ও হেলপার পালিয়ে যান। এ ঘটনায় ভালুকা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ট্রাকটির চালক ও হেলপারকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। মো. ইদ্রিস মোল্লা ২০১১ সালের ২২ ডিসেম্বর পুলিশে যোগ দেন। ২০১৯ সালে তাকে প্রেষণে র্যাবে নিয়োগ দেওয়া হয়।