সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

খেতাব কেড়ে নব্য রাজাকার হবেন না

নিজস্ব প্রতিবেদক

খেতাব কেড়ে নব্য রাজাকার হবেন না

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব কেড়ে নেওয়ার ঘৃণ্য উদ্যোগ নিয়ে নিজেদের নব্য রাজাকার বানাবেন না। আগামী প্রজন্ম এ কাজের জন্য আপনাদের নব্য রাজাকার হিসেবে চিহ্নিত করবে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি সরকারের উদ্দেশে এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব ‘বীর উত্তম’ বাতিলে সরকারি উদ্যোগের প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খানের পরিচালনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, বিএনপি নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শিরিন সুলতানা, প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, গণফোরামের মোশতাক আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা দলের মকসুদ আলী মঙ্গোলিয়া, আবদুল খালেক, ফরিদ হোসেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের কালাম ফয়েজী, রায়হান আল মাহমুদ, মাজহারুল ইসলাম, সালেহা আখতার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

মেজর (অব.) হাফিজ বলেন, জিয়া কখনো কোনো ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। ১৯৭৭ সালে জিয়াকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছিলেন মেজর ফারুক। শক্ত হাতে জিয়াউর রহমান সেই বিদ্রোহ দমন করেছিলেন। বর্তমান সরকারের নেতারা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জড়াতে চান। তারা মিথ্যাকে সত্য করার অপচেষ্টায় লিপ্ত।

বিশিষ্ট এই মুক্তিযোদ্ধা বলেন, রাজাকার শব্দের মতো জামুকাও (জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল) একটি ঘৃণিত শব্দে পরিণত হতে যাচ্ছে। তারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করার চেষ্টা করছে। দলীয় লোকদের মুক্তিযুদ্ধের লেবাস পরানোর অপচেষ্টায় তারা লিপ্ত।

পৌরসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, আজকের পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীদের অবরুদ্ধ করে রেখেছে সরকার। কেন্দ্রে গিয়ে  ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের খেতাবটা কিন্তু যুদ্ধের। দেশটা কিন্তু কোনো ভাষণে স্বাধীন হয়নি, যুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছে। কিসের যুদ্ধ ছিল? গণতন্ত্র উদ্ধার করতে গিয়ে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। কাজেই আমাদের এই গণতন্ত্র বক্তৃতায় আসবে না, যুদ্ধ করে আনতে হবে। সেই যুদ্ধটাই আমাদের শুরু করতে হবে। সেই যুদ্ধের ফল হবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর