মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগ কর্মীকে গুলি করে হত্যা, লাশ নিয়ে বিক্ষোভ

পাবনা প্রতিনিধি

পাবনার ভাঁড়ারায় আওয়ামী লীগ কর্মীকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার বিচার দাবিতে নিহতের লাশ নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী। রবিবার রাতে ভাঁড়ারা ইউপির আতাইকান্দা এলাকায় সংঘটিত এ হত্যাকান্ডের পর লাশ উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। গতকাল দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনের কাছে হস্তান্তরের পর লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। পরে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে পথসভায় হত্যাকান্ডের জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাইদ খানকে দায়ী করে তার গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়। পুলিশ জানায়, রবিবার রাতে পাবনার ভাঁড়ারা ইউপির আতাইকান্দা গ্রামে গুলি করে হত্যা করা হয় কাথুলিয়া গ্রামের মন্তাই বেপারীর ছেলে আওয়ামী লীগ কর্মী আমিরুল ইসলামকে (৩০)। প্রকাশ্যে হত্যার পর হত্যাকারীরা নির্বিঘ্নে চলে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধারের পর পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। স্থানীয় প্রভাবশালীদের পূর্বশত্রুতার জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। হত্যার কারণ ও জড়িতদের খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সন্ধ্যার পর এলাকার মুজিববাঁধ সংলগ্ন আতাইকান্দা ভাউডাঙ্গা মোড়ে চা খেতে এসেছিলেন আমিরুল। এ সময় আগে থেকেই ওতপেতে থাকা সন্ত্রাসীরা আমিরুলকে চায়ের দোকানে বসে থাকা অবস্থায় গুলি করে হত্যা করে। আমিরুল ইসলাম পূর্বে সর্বহারা দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলেও বর্তমানে কৃষি ও রাজমিস্ত্রির কাজে সম্পৃক্ত ছিলেন। ঘটনার পর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিহত আমিরুলের বাবা মন্তাই বেপারী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার ছেলে কাঠমিস্ত্রির কাজ করত। তাকে অকারণে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি হত্যাকারীদের বিচার চাই। অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাইদ খান বলেন, রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য আমাকে দোষারোপ করা হচ্ছে। পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, আমিরুল হত্যাকান্ডে র পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছে পুলিশ। পাবনা সদর থানায় হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন। আসামিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর