মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

তিস্তা চুক্তি ভারতের অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

তিস্তা চুক্তি ভারতের অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ

শিগগিরই তিস্তা চুক্তি সইয়ে সম্ভাবনা কম এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। তিনি বলেন, ভারতে এ নিয়ে অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যদিও ভারতের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এ বিষয়ে অঙ্গীকার রয়েছে। তবে এ চুক্তি সইয়ে সব অংশীদারের ঐকমত্য প্রয়োজন। তবে অন্য ছয়    নদীর পানি বণ্টন নিয়ে অনেক দ্রুত অগ্রগতি হতে পারে। গতকাল দুপুরে ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে কূটনৈতিক সংবাদদাতাদের সংগঠন ডিকাবের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠান ‘ডিকাব টক’-এ তিনি এসব কথা বলেন। ভারত আগামী ৫০ বছরে বাংলাদেশের সঙ্গে আরও জোরালো সম্পর্ক গড়তে অঙ্গীকারবদ্ধ বলেও এ সময় জানান ভারতীয় হাইকমিশনার।

ভারত কখনো বাংলাদেশের সঙ্গে ‘দাদাগিরি’ দেখায় না জানিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ‘আমাদের কাছে পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রে আছে বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব। আমরা কীভাবে বড় ভাইসুলভ আচরণ বা দাদাগিরি করতে পারি? সত্যি বলছি, ১৭ কোটি লোকের বিশাল দেশ বাংলাদেশ। তাই এ ধরনের ভাবনার কোনো কারণ নেই। ভারত সব সময় বাংলাদেশের জোরালো উন্নয়ন অংশীদার। দাদাগিরির ভাবনা কেন আসে সে সম্পর্কে আমার কোনো ধারণাই নেই।’ হাইকমিশনার বলেন, দুই দেশের একটি অংশীদারির ভবিষ্যৎ দেখতে হবে।

১৭ কোটির বাংলাদেশ ও ১৩০ কোটি মানুষের ভারত কীভাবে একটি অংশীদারির ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারে তা দেখতে হবে।

বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদির সফরের বিষয়টি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি। তবে প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে ওই সফরটির পরিকল্পনা আছে। সে সময় বেশ কিছু সমঝোতার বিষয়ে আমরা কাজ করছি।’ জ্বালানি খাত, মানুষে মানুষে সহযোগিতা এবং আরও বড় পরিসরে রাজনৈতিক সম্পর্কে অংশীদারির কথা উল্লেখ করে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, এসব বিষয়ে আলোচনা চলছে। আরও অনেক বিষয় চূড়ান্ত হওয়া বাকি।

তিনি বলেন, দুই দেশ আগামী ৫০ বছর ও তারও পরে সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে চায়। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবিত সফরে বিভিন্ন খাতে ঐতিহাসিক, আন্তসরকার ও সহযোগিতার উপকরণ থাকবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের গুরুত্ব নিয়ে ভারতে দ্বিদলীয় ঐকমত্য আছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন ভারতের জন্য ভালো। এ বিষয়ে কারও মনে কোনো ধরনের সন্দেহ নেই। ভারতের প্রতিটি সরকারের কাছেই বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের প্রত্যেক প্রধানমন্ত্রীই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্ভাব্য সবচেয়ে ভালো সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা করেছেন।

সীমান্তে হত্যা প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, সীমান্তে হত্যা কেউই চায় না। এ সমস্যা সমাধানে সীমান্তের দুই প্রান্তেই কাজ করার ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ড উৎসাহিত করার ওপর তিনি জোর দেন।

ভারতে প্রবেশের জন্য কভিড ভ্যাকসিন নিতে হবে- এমন প্রচারণা নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, কভিডমুক্ত সনদ নিয়ে ভারতে যাওয়া যাবে। কবে নাগাদ পর্যটক ভিসা চালু করা যাবে সে বিষয়ে তিনি জানেন না। তবে এ পরিস্থিতিতেও প্রতি কর্মদিবসে বাংলাদেশে ১৬ শ ভারতীয় ভিসা ইস্যু করা হচ্ছে।

ডিকাব সভাপতি পান্থ রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈনুদ্দীন বক্তব্য দেন।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর