মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা
পৌরসভা নির্বাচন

চতুর্থ ধাপে ভোট পড়েছে ৬৫.৬৮ শতাংশ

সর্বোচ্চ বানারীপাড়ায় ৯২.৬০ ও সর্বনিম্ন পটিয়ায় ৪৬.০৭ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

কিছু কিছু এলাকায় গোলযোগ-সহিংসতার মধ্যে অনুষ্ঠিত চতুর্থ ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে গড়ে প্রায় ৬৫.৬৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে বরিশালের বানারীপাড়ায় ৯২ দশমিক ৬০ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ভোট পড়েছে ৪৬ দশমিক ০৭ শতাংশ চট্টগ্রামের পটিয়ায়। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় প্রকাশিত ফল থেকে এ তথ্য জানা গেছে। চতুর্থ ধাপে ৫৫ পৌরসভায় মেয়র পদে ১৪,৫৪,৪৮০ ভোটারের মধ্যে ৯,৫৫,২৪০ জন ভোট দিয়েছেন। সে হিসাবে এ ধাপে ভোট পড়েছে ৬৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এর আগে ২৮ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে ভোটে ৬৫ শতাংশ, দ্বিতীয় ধাপে ১৬ জানুয়ারি ৬২ শতাংশ  ও ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে ৭০ দশমিক ৪২ শতাংশ ভোট পড়ে। ২৮ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম ধাপের ভোট হবে।

বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ আর বর্জনের মধ্য দিয়ে পৌরসভার চতুর্থ ধাপের ভোট রবিবার অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম তিন দুই ধাপের ভোটে গোলযোগ-সংঘর্ষ হওয়ায় এবার বাড়তি সতর্কতা নেওয়ার কথা জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তাতেও সংঘাত এড়ানো যায়নি।

টাঙ্গাইলের কালিহাতী পৌরসভায় ভোট চলাকালে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত চারজন আহত হয়েছেন। চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভার নির্বাচনে এক ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে ‘তুলে নিয়ে যাওয়ার’ অভিযোগ ওঠে। দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় ছুরিকাঘাতে একজন নিহতও হন। এ নির্বাচন নিয়ে কমিশন যে সন্তুষ্ট তা ইসির নতুন সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার রবিবার জানিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু গতকাল নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, পৌরসভা নির্বাচনের ফলাফল দেখে ধারণা হচ্ছে, নির্বাচন নির্বাসনে যেতে চায়। নির্বাচন অর্থ অনেকের মধ্য থেকে ভোটের মাধ্যমে বাছাই। কিন্তু সে অবস্থা আজকাল পরিলক্ষিত হয় না। প্রশ্ন জাগে, নির্বাচন কি এখন              পূর্বে নির্ধারিত? নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও সর্বজন গ্রহণযেগ্য না হলে, কোনো বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র আপন মহিমায় বিকশিত হতে পারে না। এ নির্বাচন কমিশনার জানান, আগামী মে মাস থেকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন দলীয় প্রতীকে ব্যাপক পরিসরে কয়েক ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনেও সহিংসতার আশঙ্কা করি। আচরণবিধি লঙ্ঘন ও হানাহানি বর্তমানে নির্বাচনের অনুষঙ্গ হয়ে গেছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমাদের উদ্যোগ কেন কার্যকর হচ্ছে না, তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ আবশ্যক।’ ফল : চার ধাপে আ.লীগ ১১৫, বিএনপি ১০ ও স্বতন্ত্র ৩০ : চতুর্থ ধাপে আওয়ামী লীগের ৪৬ জন, বিএনপির ১ জন ও ৫ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হন। দলীয় প্রতীকে এ ভোটে মেয়র পদে তৃতীয় ধাপে আওয়ামী লীগের ৪৬ জন, বিএনপির তিনজন ও স্বতন্ত্র ১৪ জন বিজয়ী হন। দ্বিতীয় ধাপে আওয়ামী লীগের ৪৫ জন, বিএনপির চারজন, জাতীয় পার্টির একজন, জাসদের একজন ও আটজন স্বতন্ত্র প্রার্থী মেয়র পদে বিজয়ী হন। প্রথম ধাপে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থীদের মধ্যে ১৮ জন, বিএনপির ধানের শীষের দুজন এবং তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী মেয়র পদে বিজয়ী হন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর