বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

মৌলবাদীদের হাত ধরে রাজনৈতিক শক্তি আহরণের চেষ্টায় জঙ্গিগোষ্ঠী

------- মোহাম্মাদ আলী শিকদার

জুলকার নাইন

মৌলবাদীদের হাত ধরে রাজনৈতিক শক্তি আহরণের চেষ্টায় জঙ্গিগোষ্ঠী

নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মাদ আলী শিকদার মনে করেন, বাংলাদেশে জঙ্গিদের সশস্ত্র তৎপরতা নিয়ন্ত্রণে এলেও

তাদের নেটওয়ার্ক অটুট আছে। বরং কিছু ক্ষেত্রে এই নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি বেড়েছে। কঠোর মনিটরিংয়ের পরও অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী জঙ্গিগোষ্ঠী এখন মৌলবাদীদের হাত ধরে রাজনৈতিক শক্তি আহরণের চেষ্টা করছে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন। মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদার বলেন, ২০১৬ সালের পয়লা আগস্টের পর থেকে গত সাড়ে চার বছরে জঙ্গিরা বাংলাদেশে বড় ধরনের কোনো সশস্ত্র তৎপরতা চালাতে পারেনি। যদিও তারা বহুবার চেষ্টা করেছে। প্রতিবারই ব্যর্থ হয়েছে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তারা ধরা পড়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রস্তুতি পর্বেই তাদের অভিযান নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে। এরপরও বিচ্ছিন্নভাবে তারা যে চেষ্টা করছে না তা নয়। পুলিশের ওপর বোমা নিক্ষেপের মতো অপচেষ্টাও তারা চালিয়েছে। তবে তাদের জোরেশোরে কোনো তৎপরতা আর দেখা যাচ্ছে না। সে হিসেবে বলা যায়, জঙ্গিদের সশস্ত্র তৎপরতা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক কোনোভাবেই কমেনি। ধর্মীয় উগ্রবাদী রাজনৈতিক দল জামায়াত, শিবির ও অন্যান্য মৌলবাদী দলের মাধ্যমে তারা নেটওয়ার্ক বাড়াচ্ছে।

 তিনি বলেন, রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা থাকায় মৌলবাদী দলগুলোর রাজনৈতিক কর্মকান্ড চোখে না পড়লেও তারা অটুট আছে। এসব মৌলবাদীর বাইরে নানান ধরনের মতবিরোধ দেখা গেলেও বাংলাদেশকে ধর্মান্ধ রাষ্ট্র বানানোর লক্ষ্যে তারা এক। কেউ চায় পাকিস্তান স্টাইলে, কেউ চায় আফগানিস্তান স্টাইলে। ইদানীং বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে হেফাজতে ইসলামের মতো একটি দল যে অরাজকতা তৈরি করেছিল তার পরিপ্রেক্ষিতের অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দলও তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিল। এর মাধ্যমে মৌলবাদীরা রাজনৈতিকভাবেও একটা সুবিধা পেল। তারা এটাই চায়। রাজনৈতিকভাবে এসব সুযোগ পেতে থাকলে তারা আবার হঠাৎ করে বড় আকারে সশস্ত্র তৎপরতা শুরু করবে।

 কারণ এখন তরুণ সমাজকে বিপথে প্রলুব্ধ করার সীমাহীন সুযোগ তৈরি হয়েছে। ইন্টারনেট অসীম দুনিয়াকে কাজে লাগিয়ে সহজেই প্রলুব্ধ করা যাচ্ছে। ফলে আমরা দমন বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেও কোনোভাবেই বলা যায় না, জঙ্গিবাদের পুনরুত্থানের শঙ্কা আর নেই।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর