বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

আইন প্রয়োগের সঙ্গে দরকার জনসচেতনতা বাড়ানো

-------- মো. আছাদুজ্জামান মিয়া

আলী আজম

আইন প্রয়োগের সঙ্গে দরকার জনসচেতনতা বাড়ানো

জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত সেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, জঙ্গিবাদ একটি বৈশ্বিক সমস্যা। এটি নিয়ন্ত্রণের জন্য একদিকে যেমন আইন প্রয়োগ দরকার, পাশাপাশি প্রয়োজন জনসচেতনতা বাড়ানো। তিনি বলেন, জঙ্গিদের শনাক্ত করে, তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। একই সঙ্গে ডিরেডিকেলাইজেশন (বিজঙ্গিবাদকরণ) প্রোগ্রাম হাতে নিতে হবে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি এসব কথা বলেন। মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে জঙ্গিদের রিক্রুট করা হয়ে থাকে। সেই ধর্মের সঠিক ব্যাখ্যা দিয়ে গণসচেতনা সৃষ্টি করতে হবে। পারিবারিকভাবে, সামাজিকভাবে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে কেউ যেন জঙ্গিবাদে না জড়াতে পারে সে ব্যাপারে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা এবং জনসম্পৃক্ততা প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বলব, জঙ্গিরা বিভ্রান্ত হয়ে এ দেশে যেভাবে একটা নৈরাজ্য করার চেষ্টা করেছিল, সেটি প্রথম ধাক্কাতেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রুখে দিয়েছে। জঙ্গিদের শনাক্ত করেছে। তাদের বিভিন্ন ডেরায় অভিযান চালিয়েছে। বেশ কিছু অপারেশন চালানো হয়েছে। এতে কেউ কেউ নিহত হয়েছে, কাউকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’ ডিএমপির সাবেক এই কমিশনার বলেন, ‘জঙ্গিদের অর্থ জোগানদাতা, পৃষ্ঠপোষক এবং সাহায্যকারী অনেকেই গ্রেফতার হয়েছে। আইনে তাদের বিচার হয়েছে এবং তারা সাজাও পেয়েছে। আমাদের গোয়েন্দারা কঠোর নজরদারির মাধ্যমে তাদের যে কোনো ধরনের কর্মকান্ড প্রতিহতের জন্য সর্বাত্মক সচেষ্ট রয়েছেন। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এখন আমরা বলতে পারি, জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক এখন অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে। তারা সংগঠিত হবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, বিষয়টা সহজ হবে না। এর পরও বলব, যেহেতু এটা বৈশ্বিক সমস্যা, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাজনীতি ও ধর্মের অপব্যাখ্যায় তারা বিভ্রান্ত হয়ে থাকে, এটিকে কার্যকরভাবে দমন করতে হলে জঙ্গিদের একদিকে যেমন আইনের আওতায় আনতে হবে, অন্যদিকে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াতে হবে।

 যারা এ ধরনের জঙ্গি কার্যক্রম করে বা মতবাদ ছড়ায়, কিংবা বিভিন্ন ওয়েবসাইট-অনলাইনে তাদের মতবাদ প্রচার করে, সেসব অনলাইনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’

জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত সেলের এই সিইও বলেন, একই সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে, সামাজিকভাবে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে জনসচেতনতা বাড়িয়ে বিজঙ্গিবাদকরণের মাধ্যমে এই জঙ্গিবাদকে কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। বর্তমানে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এর সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষ, সরকারের প্রধানসহ সবাই এ ব্যাপারে সতর্ক রয়েছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর