বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

আলজাজিরার রিপোর্ট তাদেরই ক্ষতিগ্রস্ত করেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

আলজাজিরার রিপোর্ট তাদেরই ক্ষতিগ্রস্ত করেছে

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আলজাজিরার সাম্প্রতিক রিপোর্ট তাদেরই ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বাংলাদেশে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রচন্ড ভাবে লোপ পেয়ে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে । বিশ্বব্যাপী তাদের বস্তুনিষ্ঠতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গতকাল দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রিপোর্টের শিরোনাম দিয়েছে “অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন”, আর ভিতরের প্রতিবেদনটি হচ্ছে সেনাপ্রধান ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে। প্রতিবেদনটি দেখেশুনে মনে হয়েছে এটি ব্যক্তিগত আক্রোশবশত। আলজাজিরার মতো একটি টেলিভিশনে এই ব্যক্তিগত আক্রোশবশত রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে আলজাজিরার গ্রহণযোগ্যতা বহুগুণে কমেছে এবং বিশ্বব্যাপী তার নিরপেক্ষতা, বস্তুনিষ্ঠতা এবং তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রিপোর্টিং- এগুলো নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।’ তিনি বলেন, অবশ্য আলজাজিরা নিয়ে এ প্রশ্ন আজকে যে প্রথমবার উঠেছে তা নয়, এ প্রশ্ন বহুবার বহু দেশে উঠেছে, আলজাজিরার সম্প্রচার বন্ধ আছে, এমনকি ভারতেও বন্ধ করা হয়েছিল। এখনো অনেক দেশে বন্ধ রাখা হয়েছে।

দেশে আলজাজিরার সম্প্রচার বন্ধের ব্যবস্থা কেন নেওয়া হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তো ব্যবস্থা নিতে পারতাম। অন্য দেশে যেভাবে বন্ধ করা হয় আমাদের দেশে চাইলেই সেভাবে বন্ধ করতে পারতাম, কিন্তু আমরা তা করিনি। কারণ আমরা গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। কিন্তু অবাধ স্বাধীনতার পাশাপাশি সমস্ত গণমাধ্যমেরও নিজস্ব দায়িত্ব থাকে। আলজাজিরা এ ক্ষেত্রে তাদের দায়িত্বশীলতা পালনে ব্যর্থ হয়েছে। তারা একটি পক্ষ হয়ে কাজ করেছে এবং আমরা যতটুকু শুনেছি সম্ভবত এর সঙ্গে আরও বহু পক্ষ যুক্ত আছে।’ তিনি বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে এখনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়নি। কিন্তু কোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি যদি আদালতে যান সে ক্ষেত্রে আদালত থেকে যদি কোনো নির্দেশনা পাই তাহলে আদালতের নির্দেশনা অবশ্যই পালন করব।’

প্রতিবেদন সহযোগীদের মধ্যে ডেভিড বার্গম্যান সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে বার্গম্যানের বিরুদ্ধে বিচার চলছিল। পরে তিনি হাই কোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন এবং দেশত্যাগ করে চলে গেছেন। আলজাজিরার রিপোর্টে একসময় বিচারাধীন যুদ্ধাপরাধীদের “ইসলামী বুদ্ধিজীবী” হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছিল। ডেভিড বার্গম্যান তাদের পক্ষ নিয়েছিলেন। আর সেখানে যে মূল বক্তা মিস্টার সামি, তার আরও অনেক নাম আছে। তার ফিরিস্তি আগে আমি জানতাম না, রিপোর্ট হওয়ার পর সব ফিরিস্তি বেরিয়েছে- কখন তার পিতা তাকে ত্যাজ্যপুত্র করেছেন, কখন তিনি চুরিতে ধরা পড়েছেন। এ ধরনের লোককে নিয়ে যখন রিপোর্ট তৈরি করা হয়, তখন গণমাধ্যমেরই ক্ষতি হয়।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর