পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের ঋণখেলাপিদের উদ্দেশে হাই কোর্ট বলেছে, আগে টাকা দেবেন তারপর আলোচনা। টাকা না দিলে কারাগারে যেতে হবে। গতকাল দ্বিতীয় দফায় সর্বনিম্ন ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিয়ে খেলাপি হওয়া ৪৫ জন হাজির হওয়ার পর বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাই কোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করে।
ঋণখেলাপিদের উদ্দেশ করে আদালত বলে, এটা চোর-বাটপারদের টাকা নয়, এটা জনগণের টাকা। আপনারা তো টাকা নিয়েছেন। আর যারা এ প্রতিষ্ঠানে টাকা জমা রেখেছিলেন, তারা তো না খেয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন। এ সময় আদালত একজন ঋণখেলাপিকে উদ্দেশ করে বলে, টাকা না দিয়ে কোনো মন্ত্রী বা কারও প্রভাবে কাজ হবে না। আইনের মধ্যে থেকেই টাকা দিতে হবে। প্রথম ইনস্টলমেন্ট (কিস্তি) দিয়ে তারপর বাকি আলোচনা করে নেবেন বোর্ড বা কমিটির সঙ্গে। পিপলস লিজিং থেকে সর্বনিম্ন ৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে খেলাপি হয়েছেন এমন ২৮০ জনকে তলব করে গত ২১ জানুয়ারি আদেশ দিয়েছিল কোর্ট। ২৩ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি দুই দফায় তাদের হাই কোর্টে হাজির হতে বলা হয়েছিল। প্রথম ধাপে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ৫১ জন হাজির হয়েছিলেন। গতকাল হাজির হন ৪৫ জন। নির্ধারিত দুই তারিখে যারা হাজির হননি, তাদের আগামী ৯ মার্চ হাজির হতে আবারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তলবে হাজির না হলে প্রয়োজনে গ্রেফতার করে আনা হবে বলে জানিয়েছে হাই কোর্ট। গত বছরের নভেম্বরে কোম্পানি আদালত পিপলস লিজিংয়ের ঋণগ্রহীতাদের তালিকা দাখিল করতে নির্দেশ দেয় বলে জানান আইনজীবী মেজবাহুর রহমান। তিনি বলেন, এ অনুসারে ঋণগ্রহীতা ৫০০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তালিকা গত বছরের ২৩ নভেম্বর আদালতে দাখিল করা হয়। ওই ঋণগ্রহীতাদের তালিকা থেকে ৫ লাখ টাকা ও তার বেশি অর্থঋণ নিয়ে খেলাপি হওয়া ২৮০ জনকে কারণ দর্শাতে বলেছে আদালত। এই ২৮০ ব্যক্তির কাছে পিপলস লিজিংয়ের ১ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকার বেশি পাওনা বলে জানিয়েছিলেন আইনজীবী।
