শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা
সেই ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলা

আটজনকে বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র কারাগারে ১ জামিনে মুক্ত ২

পুনঃতদন্তের নির্দেশ আদালতের - ১৫ মার্চ পর্যন্ত সময় চেয়েছে সিটিটিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর রমনা থানায় দায়েরকৃত সেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার অভিযোগপত্রে লেখক মুশতাক আহমেদ, কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর এবং ‘রাষ্ট্রচিন্তা’র সদস্য দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়াকে রেখে বাকি আটজনকে বাদ দেওয়া হয়েছে। অবশ্য গত ২৫ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দী অবস্থায় কাশিমপুর কারাগারে মারা যান লেখক মুশতাক।

জানা গেছে, গত ৪ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা মডেল থানার এস আই মো. মহসিন সরদার চার মাস কারাগারে থাকা মিনহাজ মান্নান ইমন, নেত্র নিউজের সম্পাদক সুইডেন প্রবাসী তাসনিম খলিল, জার্মানিতে থাকা ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক শাহেদ আলম, হাঙ্গেরি প্রবাসী জুলকারনাইন সায়ের খান, আশিক ইমরান, স্বপন ওয়াহিদ ও ফিলিপ শুমাখারের অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। তবে মিনহাজ মান্নান ও দিদার গত সেপ্টেম্বরে জামিনে ছাড়া পান।

গত বছর ৬ মে কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর এবং ব্যবসায়ী- লেখক মুশতাক আহমেদকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরে ওই দুজনসহ ১১ জনকে আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ওই মামলা দায়ের করেন র‌্যাব-৩ এর ডিএডি আবু বকর সিদ্দিক। পরদিন মিনহাজ মান্নান ও দিদারুলকেও এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান ব্রোকারেজ হাউস বিএলআই সিকিউরিটিজের কর্ণধার। লেখক মুশতাককে গ্রেফতারের পর প্রথমে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জ সবশেষ ওই বছরের ২৪  আগস্ট তাকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়। সেখানেই গত ২৫ ফেব্রুয়ারি তার মৃত্যু হয়। গ্রেফতারের পর এখনো কারাগারে বন্দী আছেন কার্টুনিস্ট কিশোর। এদিকে, গত ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মাদ আসসামছ জগলুল হোসেন মামলার অভিযোগের বিষয়ে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটকে তদন্ত করে ২৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন। যদিও আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত আদালতের কাছ থেকে আবেদন করে সময় বাড়িয়ে নিয়েছে সিটিটিসি। এজাহারে যা বলা হয়েছিল : মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ফেসবুক ব্যবহার করে জাতির জনক, মুক্তিযুদ্ধ, করোনাভাইরাস মহামারী সম্পর্কে গুজব, রাষ্ট্র/সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ করার অভিপ্রায়ে অপপ্রচার বা বিভ্রান্তি ছড়ানো, অস্থিরতা-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারার অভিযোগ আনা হয়। ফেসবুকে ‘am Bangladeshi’ পেইজে সম্পৃক্ত হিসেবে গ্রেফতার করা হয় কিশোর, মুশতাক, দিদারুলকে যে পেইজ থেকে রাষ্ট্রের সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ করতে বিভিন্ন পোস্ট দেওয়া হচ্ছিল। হোয়াটস অ্যাপ ও ফেসবুক মেসেঞ্জারে কিশোর ও মুশতাকের সঙ্গে তাসনিম খলিল, জুলকারনাইন সায়ের খান, শাহেদ আলম, আসিফ মহিউদ্দিনের ‘ষড়যন্ত্রমূলক চ্যাটিংয়ের প্রমাণ’ পাওয়ার দাবিও করে র‌্যাব। দিদারুল ও মিনহাজ ফেসবুকে মুশতাকের ‘ফ্রেন্ড’ উল্লেখ করে মামলায় বলা হয়, ‘তাদের সঙ্গে হোয়াটস অ্যাপ ও ফেসবুক মেসেঞ্জারে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক চ্যাটিংয়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর