যুক্তরাজ্যে ফেরার অনুমতি পেলেন না বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক স্কুলছাত্রী শামীমা বেগম। গতকাল ব্রিটেনের সুপ্রিম কোর্ট এ-সংক্রান্ত রায় ঘোষণা করেছে। সূত্র : বিবিসি।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের সর্বসম্মতিক্রমে দেওয়া রায়ে বলা হয়, শামীমাকে যুক্তরাজ্যে ফেরার অনুমতি না দেওয়া তার অধিকারের লঙ্ঘন নয়। সুপ্রিম কোর্টের প্রেসিডেন্ট লর্ড রিড বলেন, সরকারের শামীমা বেগমকে যুক্তরাজ্যে ফিরতে বাধা দেওয়ার পূর্ণ অধিকার আছে। তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট সর্বসম্মতিক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সব আপিল গ্রহণ করছে এবং শামীমা বেগমের ক্রস-আপিল বাতিল করছে।’ শামীমার বিষয়ে আপিল আদালত ভুল রায় দিয়েছে এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মামলার বিষয়ে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছে বলেও মত দেন লর্ড রিড। প্রসঙ্গত, মাত্র ১৫ বছর বয়সে স্কুলের দুই বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে আইএসএ যোগ দিতে লন্ডন থেকে পালিয়ে সিরিয়ায় পাড়ি জমান শামীমা। এখন উত্তর সিরিয়ায় সশস্ত্র রক্ষীদের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি ক্যাম্পে দুর্গত অবস্থায় আছেন তিনি। তার স্বামী সিরীয় কারাগারে আছেন বলে মনে করা হচ্ছে এবং তাদের তিনটি সন্তানই মারা গেছে। ২১ বছর বয়সী শামীমার দাবি, ব্রিটিশ সরকারের বেআইনি সিদ্ধান্তে তিনি রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়েছেন এবং তার মৃত্যুর ঝুঁকি আছে। শামীমার আইনজীবীদের যুক্তি ছিল, শুনানিতে অবাধে অংশ নিতে না পারলে এ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নারীর ব্রিটিশ নাগরিকত্ব স্বয়ংক্রিয়ভাবে বহাল হয়ে যাবে। নাগরিকত্ব বাতিল হওয়ার সিদ্ধান্ত আইনগতভাবে মোকাবিলায় ব্রিটেনে ফিরে যাওয়ার অনুমতি চেয়েছিলেন শামীমা। ২০১৯ সালে যুক্তরাজ্যে ফিরতে চান শামীমা। তবে দেশটির সরকার রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে তার নাগরিকত্ব বাতিল করে। এরপর বিষয়টি আদালতে গড়ায়। পরে গত বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি শামীমার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করার সিদ্ধান্তকে বৈধ বলে রায় দেয় যুক্তরাজ্যের একটি আদালত। এরপর গতকাল দেশটির সর্বোচ্চ আদালত তার ফেরা নিয়ে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত দিল।
