দেশ ছাড়তে বাধ্য হওয়া সাংবাদিক, অ্যাকটিভিস্টদের যারা কোনো দেশের সরকারের হয়ে নির্যাতন, ক্ষয়ক্ষতি বা হুমকি দেবে সেসব ব্যক্তির যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকা বন্ধ হয়ে যাবে। যুক্তরাষ্ট্রের পরররাষ্ট্রমন্ত্রী টনি ব্লিনকেন শুক্রবার এক বিবৃতিতে ‘খাশোজি ব্যান’ নামের এ ভিসা নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়েছেন। দুই বছর আগে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতাবাসে নির্বাসিত সাংবাদিক জামাল খাশোজিকে হত্যায় সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমানের অনুমোদন ছিল বলে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর এ ঘোষণা এলো। এর আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর সেসব ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবে যারা কোনো দেশের সরকারের পক্ষে নির্বাসিত বা নির্বাসিত হতে পারেন এমন সাংবাদিক, অ্যাকটিভিস্ট বা অন্য ব্যক্তিকে নিপীড়ন, হয়রানি, নজরদারি, হুমকি বা ক্ষয়ক্ষতিসহ গুরুতর কর্মকান্ড পরিচালনা করবেন বা দেশের বাইরে গিয়ে ওই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কাজ করবেন। ওইসব ব্যক্তির পরিবার এবং অন্য ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের ওপরও নতুন এ ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। তাদের পরিবারের সদস্যরাও এ বিধিনিষেধের আওতায় পড়বেন। এ নিয়মের আওতায় খাশোজি হত্যায় জড়িতসহ বিদেশে নির্বাসিতদের হুমকিদাতা হিসেবে চিহ্নিত সৌদি আরবের ৭৬ জনের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সীমান্তের মধ্যে সবার নিরাপত্তার জন্য অন্য কোনো দেশের সরকারের পক্ষে অপরাধীরা নির্বাসিতদের টার্গেট করে আমেরিকার মাটিতে ঢুকতে পারবে না।’ বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর যে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে সেখানে কোনো দেশের বাইরে গিয়ে সে দেশের সরকারের পক্ষে এমন কর্মকান্ড কেউ পরিচালনা করলে সেগুলো তুলে আনতে নির্দেশ দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন ব্লিনকেন। কোনো সরকার শুধু মৌলিক স্বাধীনতাচর্চার জন্য দেশের মধ্যে বা বাইরে কাউকে ‘টার্গেট’ করলে সে সরকারের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নজর রাখবে বলে তার বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।