রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

৭ মার্চের ভাষণ অবশ্যই ইতিহাস

------- মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘একাত্তরের ৭ মার্চ মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ অবশ্যই ইতিহাস।’

গতকাল দুপুরে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব এ মন্তব্য করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, শুধু ৭ মার্চ নয়, আমরা ২ মার্চ ও ৩ মার্চ পালন করছি। ২ মার্চ প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেছিলেন আ স ম আবদুর রব। তখন তিনি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতা। আমরা সেটাও পালন করছি। ২ মার্চ স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেছেন শাজাহান সিরাজ। এটাকে অস্বীকার করব কী করে? আজকে রাজনৈতিক দল ভিন্ন হতে পারে। একইভাবে মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ অবশ্যই ইতিহাস। অবশ্যই তাঁর সম্মান, মর্যাদা তাঁকে দিতে হবে। এটাই বাস্তবতা, এটা ইতিহাসের অংশ। তিনি বলেন, ২৬ মার্চ প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের যে ঘোষণা জাতিকে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত করেছিল এবং সমগ্র জাতি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, এটাও ইতিহাস। সুতরাং এগুলো কোনোটাই অস্বীকার করা যাবে না। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন মিডিয়া কমিটির আয়োজনে গতকাল গুলশানে হোটেল লেকশোরে গণমাধ্যমের সঙ্গে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ডিজিটাল আইনের কঠোর সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে যে ডিজিটাল আইন তৈরি করা হয়েছে তাতে সাংবাদিকরা তার সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী। প্রায় ৪০০ জন সংবাদকর্মী বিভিন্নভাবে ভুক্তভোগী। অনেককে জেল খাটতে হয়েছে। ফটোগ্রাফার কাজল, বিখ্যাত আন্তর্জাতিক আলোকচিত্রী শহিদুল আলমও জেল খেটেছেন। সাগর-রুনিকে হত্যা করা হয়েছে। তাদের অপরাধ, শুধু লেখার জন্য। এ জন্য তো আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করিনি। এ জন্য আমরা স্বাধীনতা চাইনি। এক প্রশ্নের জবাবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের মতো আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত সরকার নেবে না। তারা এটা থেকে সরে আসবে। জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, সেটি তাদের এখতিয়ারে নেই, এটা তাদের এখতিয়ারে পড়ে না। শুধু জিয়াউর রহমান নন, যাঁরা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে খেতাব পেয়েছেন, তাঁরা কারও দয়ায় সেগুলো পাননি। এটা তাঁরা রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে পেয়েছেন। আশা করি, সুবর্ণজয়ন্তীতে সমাবেশসহ সব অনুষ্ঠান সূচারুরূপে ও সুন্দরভাবে পালন করতে পারব। মিডিয়া কমিটির আহ্বায়ক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব শামা ওবায়েদের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, মিডিয়া কমিটির সদস্য মীর হেলাল উদ্দিন, আতিকুর রহমার রুমন, শায়রুল কবির খান, ফারজানা শারমিন পুতুল, ইয়াসির খান, মাহমুদা হাবিবা, শফিকুল ইসলাম, হুমায়ুন কবির, মীর সোলায়মান, নুরুল ইসলাম সাজু, বাবুল তালুকদার প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে কারাগারে বন্দী লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুতে ১ মিনিট নীরবতা পালন করে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

সর্বশেষ খবর