ডিজিটাল জালিয়াতি ও অবৈধ পন্থায় ভর্তির অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাত শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। একই অভিযোগে আরও দুই শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নির্বাহী ফোরাম সিন্ডিকেট।
রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেটের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়া পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজের আরও পাঁচ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে সিন্ডিকেট। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে জানানো হয়। স্থায়ী বহিষ্কৃত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হলেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের মাকসুদুর রহমান (ফজলুল হক মুসলিম হল), আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের রিজন আহমেদ (কবি জসীমউদ্্দীন হল), ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আয়েশা আক্তার তামান্না (বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল), ফিন্যান্স বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শাহ মেহেদী হাসান (কবি জসীমউদ্্দীন হল), ইতিহাস বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের মুহাইমিনুল ইসলাম (স্যার এ এফ রহমান হল), দর্শন বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের আশরাফুল আলম (শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) এবং ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষের মো. শাহেদ আহমেদ (অমর একুশে হল)। সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী জানান, এর আগে ডিজিটাল জালিয়াতি ও অবৈধ পন্থায় ভর্তির জন্য ৭৮ জনকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছিল। এ সাতজনসহ মোট ৮৫ জনকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হলো। ভবিষ্যতে কেউ এ অপরাধ করলে তাদের ক্ষেত্রেও একই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া সিন্ডিকেটের সভায় পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ১৫১ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর আগে ১১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিষদের এক সভা থেকে এসব শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছিল।
