মঙ্গলবার, ২ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা
জিজ্ঞাসাবাদের পর আমীর খসরু

কী উদ্দেশ্যে ডেকেছে বুঝে নিন

নিজস্ব প্রতিবেদক

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক। গতকাল দুদকের তলবে তিনি কমিশনে উপস্থিত হলে অনুসন্ধান কর্মকর্তা সেলিনা আক্তার তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, কেন এখানে ডাকা হয়েছে, কী তার উদ্দেশ্য আপনারা বোঝেন। আমাকে এখানে ডাকা হয়েছে আমার সম্পর্কে যা জানতে চেয়েছে আমি তার জবাব দিয়েছি। আমি সাধারণ জীবন-যাপন করি, আমার ইন্টিগ্রিটি নিয়ে প্রশ্ন করার কোনো সুযোগ নেই। আমার জীবনযাপন সম্পর্কে আপনারা জানেন। ২০১৮ সালের ১৬ আগস্ট অবৈধ লেনদেন, অর্থ পাচার, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমীর খসরুকে তলব করে নোটিস দেয় দুদক। ওই নোটিসে একই বছরের ২৮ আগস্ট বিএনপি স্থায়ী কমিটির এই সদস্যকে সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছিল। আমীর খসরুর বিরুদ্ধে বেনামে পাঁচ তারকা হোটেল ব্যবসা, ব্যাংকে কোটি কোটি টাকা অবৈধ লেনদেনসহ বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচারের পাশাপাশি স্ত্রী, পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও নিজের নামে শেয়ার কেনাসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের কথা ওই নোটিসে বলা হয়েছিল।

ওই তলবে আমীর খসরু উপস্থিত না হওয়ায় পরে একই বছরের ১০ সেপ্টেম্বর হাজির হতে আরেকটি নোটিস পাঠায় দুদক। কিন্তু তিনি নোটিসের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর হাই কোর্টে রিট করেন। এরপর ২০১৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে হাজির না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে চিঠি পাঠান। হাই কোর্টে এ রিট বিচারাধীন জানিয়ে এর নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ না নিতে সেখানে অনুরোধ করা হয়। পরে ওই রিট হাই কোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য তোলা হলে তা সরাসরি খারিজ করে দেয় আদালত। ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট আমীর খসরু ও তার স্ত্রীকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে পৃথক নোটিস দেয় দুদক। এরপর গত ২৩ ফেব্রুয়ারি আমীর খসরু, তার স্ত্রী তাহেরা খসরু আলম এবং স্ত্রীর বোনের স্বামী গোলাম সরোয়ারকে তলব করে নোটিস পাঠায় দুদক। এর আগে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর আমীর খসরু ও তার স্ত্রী তাহেরা খসরু আলমকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় দুদক।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর