শুক্রবার, ৫ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা
যুবদলের বিক্ষোভ সমাবেশে ফখরুল

জোর করে ক্ষমতায় থাকতে গণবিরোধী আইন

নিজস্ব প্রতিবেদক

জোর করে ক্ষমতায় থাকতে গণবিরোধী আইন

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে যুবদলের বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন -বাংলাদেশ প্রতিদিন

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা। এ সরকার সম্পূর্ণ অবৈধ সরকার। জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে তারা এ ধরনের সম্পূর্ণ গণবিরোধী আইন তৈরি করেছে। আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই অবৈধ অনির্বাচিত সরকারকে সরাতে হবে।

গতকাল সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী যুবদলের এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এমন মন্তব্য করেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি, লেখক মুশতাক আহমেদের কারাগারে মৃত্যু এবং নোয়াখালীতে সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যার প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এদিকে সমাবেশ থেকে ফেরার পথে যুবদলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি রফিকুল আলম মজনুকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এছাড়াও সমাবেশস্থল ও আশপাশ থেকে বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের ২০ নেতা-কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুল আলম নিরবের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসানের পরিচালনায় সমাবেশে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, প্রচার সম্পাদক শহিদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মোরতাজুল করীম বাদরু, আবদুল খালেক হাওলাদার, মোনায়েম মুন্না, এস এম জাহাঙ্গীর, রফিকুল আলম মজনু, নুরুল ইসলাম নয়ন, গোলাম মাওলা শাহিন প্রমুখ বক্তব্য দেন। সমাবেশে বর্তমান সরকারের পদত্যাগ চেয়ে অবিলম্বে নিরপেক্ষ-নির্দলীয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে জাতীয় নির্বাচন দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব। মির্জা ফখরুল বলেন, লেখক মুশতাক আহমেদকে অন্যায়ভাবে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে গ্রেফতার করে কারাগারে আটক রেখে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকান্ড রাষ্ট্রীয়ভাবে হয়েছে। আমরা এই হত্যাকান্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছি। তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গত পাঁচ বছরে ৭ বছরের কন্যাশিশু ও গৃহবধূসহ প্রায় ৭০০ মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি এই আইনে গ্রেফতারকৃত সবার অবিলম্বে মুক্তি দাবি করে বলেন, এ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে সরকার জনগণের কথা বলার অধিকার, বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে।

যুবদল নেতা মজনুসহ ২০ জন গ্রেফতার : গতকাল দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ অভিযোগ করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে ফেরার পথে ২০ জনেরও বেশি যুবদলের নেতা-কর্মীকে পুলিশ আটক করেছে। তিনি জানান, সমাবেশ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই জাতীয়তাবাদী যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি রফিকুল আলম মজনুকে আটক করে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। এমনকি সভাস্থলে উপস্থিত বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গেও পুলিশ অসদাচরণ করে। বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হানা দিচ্ছে পুলিশ। তিনি অভিযোগ করেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব, ফতুল্লা ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু খালেক টিপু, বন্দর থানা যুবদল নেতা মাহবুব, রূপনগর থানা যুবদলের সহ-প্রচার সম্পাদক মো. ফাহিম, সূত্রাপুর থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সৌরভ রাসেল, কামরাঙ্গীরচর থানা যুবদলের সদস্য দিলগণি, কাফরুল থানা যুবদল নেতা মো. ওয়াহিদ, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা যুবদল নেতা তরিকুল ইসলাম রুবেল, আবদুল মান্নান, আবদুর রাজ্জাক, মো. সাগর, ঢাকা জেলা ধামরাই থানা যুবদল নেতা মো. শিপলু, মোশাররফ হোসেন ও কেরানীগঞ্জ থানা যুবদল নেতা মো. রুবেলসহ ২০ জনের  বেশি  নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে।

সর্বশেষ খবর