গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংশোধন নয়, আইনটি বাদ দেওয়ার পক্ষে। তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বাক স্বাধীনতা, চিন্তা করার স্বাধীনতাকে যেভাবে আঘাত দেওয়া হচ্ছে তা থেকে সমাজকে পুরোপুরি মুক্ত করা দরকার। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে জহুর হোসেন চৌধুরী হলে গণফোরামের এ সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল হোসেনের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান। অন্যদের মধ্যে আ ও ম শফিকউল্লাহ, মোশতাক আহমেদ, জানে আলম, সুরাইয়া বেগম ও সেলিম আকবার উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ড. কামাল হোসেন যখন জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিতরে সংবাদ সম্মেলন করছিলেন তখন প্রেস ক্লাবের বাইরে যুব গণফোরামের ও ঐক্যবদ্ধ ছাত্র সমাজের ব্যানারে মোস্তফা মহসিন মন্টু, সুব্রত চৌধুরী, অধ্যাপক আবু সাইয়িদদের নেতৃত্বে একটি অংশ লেখক মুশতাক আহমেদের কারাগারে মৃত্যু ও কার্টুনিস্ট কিশোরের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেন।
লিখিত বক্তব্যে ড. কামাল হোসেন বলেন, এ সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা, বিশ্বাস ও সমর্থন কোনোটাই নেই। জনবিচ্ছিন্ন সরকার জনগণকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করার অপকৌশল হিসেবে বিভিন্ন কালা কানুন জারি করেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন তারই অংশ। আজ গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের পরিবর্তে দুর্নীতি ও দুঃশাসনের স্বর্গরাজ্য গড়ে উঠেছে। জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকেছে। সামনে অগ্রসর হওয়া ছাড়া জনগণের আর কোনো বিকল্প নেই। এ রাজনৈতিক অব্যবস্থাপনা ও অর্থনৈতিক লুণ্ঠনের বিরুদ্ধে নীতি ও আদর্শের ভিত্তিতে জনগণকে ঐক্য হতে হবে। গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া পদত্যাগের পর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে কে- জানতে চাইলে ড. কামাল হোসেন বলেন, এখন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আ ও ম শফিকউল্লাহ। তিনি খুব পরিচিত লোক। গণফোরামের অপর একটি অংশ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পৃথক কর্মসূচি করছে, তারা গণফোরামে অংশ কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, গণফোরাম থেকে কিছু লোক বেরিয়ে গেছেন। যে কেউ বেরোতেই পারেন। কাউকে তো বাধ্য করে রাখা যায় না। আমরা গণফোরাম করে যাচ্ছি, ঐক্যবদ্ধও আছি।
