শিরোনাম
বুধবার, ১০ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

দক্ষিণ এশিয়ার লিডিং ফোর্স হবে পুলিশ : আইজিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

দক্ষিণ এশিয়ার লিডিং ফোর্স হবে পুলিশ : আইজিপি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশের সক্ষমতা বাড়াতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। প্রশিক্ষণ ও প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নেও রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নজর। ইতিমধ্যে পুলিশ সদস্যদের বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে আমরা দক্ষিণ এশিয়ার লিডিং ফোর্স হতে চাই বলে জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। গতকাল দুপুরে রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজে ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে মাস্টার্স ইন অ্যাপ্লাইড ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ ম্যানেজমেন্ট (এমএসিপিএম) ডিগ্রির সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর ড. মো. নাজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মো. মশিউর রহমান। আইজিপি বলেন, পুলিশে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন এসেছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সফলতার সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশ। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে আমরা একটি পুলিশকে সুসংহত ও পেশাগত বাহিনী হিসেবে গড়তে চাই। সে জন্য প্রশিক্ষণের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এজন্য পুলিশের প্রত্যেকটি স্তরের সদস্যদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হচ্ছে। তিনি বলেন, পুলিশ একটি ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিস। পুলিশকে ছাড়া কোনো দেশ চিন্তা করা যায় না। মানুষের প্রত্যাশা বাড়ছে, পুলিশও এগিয়ে যাচ্ছে। এজন্য প্রশিক্ষণের পুরাতন কাঠামো বাদ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নতুন কাঠামো তৈরি করা হয়েছে। বেসিক ট্রেনিং পাঠ্যক্রম আধুনিকায়ন করা হয়েছে। সে অনুযায়ী পুলিশের প্রত্যেক স্তরের কর্মকর্তা-সদস্যদের প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। পুলিশ স্টাফ কলেজ এক্ষেত্রে থিংক ট্যাঙ্ক হিসেবে কাজ করছে। আশা করছি দুই বছর পর জনগণ এর ফল পাবে। অনুষ্ঠানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, সবার জন্য নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। কভিড-১৯ মোকাবিলায় সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে পুলিশ  অনন্য অবদান রেখেছে, যা জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। পুলিশের পেশাগত দায়িত্বের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রেখে কোর্সটি সাজানো হয়েছে, যার ফলে তাদের পেশাগত উৎকর্ষ সাধিত হবে। অনুষ্ঠানে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ব্যাচের মোট ৫৭ জন গ্রাজুয়েটকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। এর মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশের ৩১ জন, সশস্ত্র বাহিনীর ছয়জন, আইনজীবী তিনজন, কর্পোরেট সার্ভিস সাতজন, শিক্ষক তিনজন, চিকিৎসক একজন, সাংবাদিক একজন এবং অন্যান্য সরকারি চাকরিজীবী পাঁচজন। তিনটি ব্যাচে ডিগ্রি অর্জনকারী ৫৭ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ ফলাফল লাভ করেন গোপালগঞ্জ জেলার এসপি আয়েশা সিদ্দিকা। প্রসঙ্গত, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বাংলাদেশ পুলিশের অ্যাপেক্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশ থেকে মাস্টার্স ইন অ্যাপ্লাইড ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ ম্যানেজমেন্ট ডিগ্রি প্রদান করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর