শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১১ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

দুই মাদরাসাছাত্রকে নির্মম নির্যাতন শিক্ষকের

প্রতিদিন ডেস্ক

দুই স্থানে মাদরাসা শিক্ষকের হাতে পৈশাচিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে দুই ছাত্র। এ ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রামের হাটহাজারী পৌরসভার মারকাজুল কোরআন ইসলামী একাডেমি মাদরাসা এবং ময়মনসিংহের নান্দাইল আমেনা মফিজ নুরুল কোরআন নূরানি ও হাফিজিয়া মাদরাসায়। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধির পাঠানো খবর-

চট্টগ্রাম : বাবা-মায়ের সঙ্গে মাদরাসা থেকে বাড়ি ফিরতে চাওয়ায় বেধড়ক পেটানো হয়েছে শিশু শিক্ষার্থী মো. ইয়াসিনকে। মারধরে

অভিযুক্ত মাদরাসার শিক্ষকের নাম মো. ইয়াহিয়া। চট্টগ্রামের হাটহাজারী পৌরসভার মারকাজুল কোরআন ইসলামী একাডেমি মাদরাসায় গত মঙ্গলবার এ নির্মম ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার থেকেই শিশু নির্যাতনের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরে হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন শিশুটিকে উদ্ধার করে। তবে পরিবারের অনুরোধে মাদরাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। জানা গেছে, মারকাজুল কোরআন ইসলামী একাডেমি মাদরাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী মো. ইয়াসিনকে গত ৮ মার্চ বিকালে দেখতে যান মা পারভিন আক্তার ও বাবা মোহাম্মদ জয়নাল। কিন্তু ফেরার সময় ছোট্ট শিশুটি মা-বাবার সঙ্গে বাড়ি যাওয়ার বায়না ধরে। একপর্যায়ে শিশুটি মা-বাবার পিছু পিছু মাদরাসার মূল ফটকের বাইরে চলে আসে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন মাদরাসার শিক্ষক মো. ইয়াহিয়া। মূল ফটকের বাইরে যাওয়ায় শিশুটিকে বেধড়ক পেটাতে থাকেন তিনি। এ সময় শিশুটির কোনো আকুতিই শোনেননি ওই শিক্ষক। হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। গত মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে থানা পুলিশের কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করি এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করি। কিন্তু পরিবার ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনি কোনো ব্যবস্থা নিতে রাজি না হওয়ায় বাধ্য হয়ে শিক্ষককে ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার ছিল ইয়াসিনের জন্মদিন। তাই বুধবার সকালে আবারও শিশুটিকে দেখতে যাই। আমরা চাই, ছেলেটার মানসিক যন্ত্রণাটা দূর করতে। তাই জন্মদিনে কেক-চকলেট নিয়ে তাকে আগের দিনের নির্যাতনের চিত্র ভুলাতে চেষ্টা করি।

ময়মনসিংহ : ‘পড়া না পারায়’ ময়মনসিংহের নান্দাইলে ১১ বছরের এক শিশুকে পিটিয়ে জখম করেছেন শফিকুল ইসলাম (৪৫) নামের এক মাদরাসা শিক্ষক। পরে ওই শিক্ষককে সাত দিনের কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। শিক্ষক শফিকুল ইসলাম নান্দাইল পৌর শহরের বালিয়াপাড়া এলাকার আমেনা মফিজ নুরুল কোরআন নূরানি ও হাফিজিয়া মাদরাসার শিক্ষক। গতকাল দুপুরে এ সাজা দেওয়া হয় বলে জানান নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এরশাদ উদ্দীন। তিনি জানান, মাদরাসার নূরানি বিভাগের এক শিশু শিক্ষার্থীকে পড়া না পারার কারণে বাঁশের তৈরি বেত দিয়ে পিটিয়ে জখম করেন শফিকুল। এতে ছেলেটির শরীরের বিভিন্ন অংশে লালচে ফোলা দাগ হয়ে যায়। পরে তার বাবা বিষয়টি আমাকে জানালে মাদরাসায় গিয়ে ওই শিক্ষককে আটক করা হয়। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ওই শিক্ষককে সাত দিনের কারাদন্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সর্বশেষ খবর