বৃহস্পতিবার, ১১ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

দুর্নীতি মামলার দীর্ঘসূত্রতা কমানোর চেষ্টা করা হবে

বিশেষ প্রতিনিধি

দুর্নীতি মামলার দীর্ঘসূত্রতা কমানোর চেষ্টা করা হবে

মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ

দুর্নীতি দমন কমিশনের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেছেন, দুদকের অনুসন্ধান বা তদন্তে দীর্ঘসূত্রতা কমিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রাখা হবে। জনগণের আকাক্সক্ষা অনুসারে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে সবার সহযোগিতা নিয়ে আমাদের দায়িত্ব পালন করতে চাই। তিনি বলেন, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে কমিশন বিদ্যমান আইন ও বিধিবিধান অনুযায়ী পরিচালিত হবে। অনুরাগ-বিরাগের বশবর্তী হয়ে আমরা কোনো কাজ করব না।

গতকাল দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ এবং কমিশনার হিসেবে যোগদান করেছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সাবেক চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক। দুদক প্রধান কার্যালয়ের সেমিনার কক্ষে কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন দুদক চেয়ারম্যান ও কমিশনার। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ। এ সময় তিনি বলেন, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ, দেশ আমরা সবাই চাই। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা সবাই একমত। কিন্তু তারপরও পৃথিবীর সবদেশে কমবেশি দুর্নীতির প্রকোপ আছে। আমাদের লক্ষ্য হবে দুর্নীতিমুক্ত দেশ ও সমাজ বিনির্মাণ। দুর্নীতি দমনে সুনির্দিষ্ট আইন রয়েছে। বাংলাদেশ বিদ্যমান প্রতিটি আইনই দুর্নীতিবিরোধী। আমরা চেষ্টা করব দুর্নীতিবিরোধী এসব আইনের নিখুঁত ও নির্মোহ প্রয়োগ করতে। দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, দুর্নীতি দমনের জন্য সুনির্দিষ্ট আইন আছে আমাদের, যা দিয়েই দুর্নীতি দমন কমিশন গঠিত হয়েছে। সরাসরি আমাদের ওপর দায়িত্ব, তবুও আমি বলব- বাংলাদেশের যতগুলো আইন আছে প্রতিটি আইনই দুর্নীতি যাতে না হয় সেটা অন্তর্ভুক্ত আছে। আমার প্রত্যাশা থাকবে সবগুলো আইনের মাধ্যমে দুর্নীতি যাতে কম হয় বা নিশ্চিহ্ন করা যায় সেই উদ্দেশ্য থাকবে। তারপরও আমাদের ওপর যে দায়িত্ব আছে আইন ও বিধি অনুযায়ী সঠিকভাবে পালন করার চেষ্টা করব। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের চেষ্টা থাকবে কোন কোন অনুসন্ধান বা তদন্তে দীর্ঘসূত্রতা আছে তা যতখানি সম্ভব কমিয়ে আনা। একই সঙ্গে আইনের যথাযথ প্রয়োগ করে সবার প্রতি সমান দৃষ্টি দিয়ে কাজ করব। জনআকাক্সক্ষা পূরণে এই কমিশন কী ধরনের ভূমিকা রাখবে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জনগণের আকাক্সক্ষা যা, জাতির আকাক্সক্ষা যা এটার সঙ্গে যাতে দুদকের দূরত্ব কমে আসে সেই চেষ্টা থাকবে। আমাদের উদ্দেশ্য জনগণের আকাক্সক্ষা পূরণ করা। নবনিযুক্ত কমিশনার জহুরুল হক সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, এটা বাস্তব, বাংলাদেশ থেকে প্রচুর টাকা পাচার হচ্ছে। দেশের জন্য এটা বড় ধরনের সমস্যা। এই কমিশন তৎপর থাকবে ভবিষ্যতে যাতে কোনো টাকা পাচার না হয়। যে অর্থ পাচার হয়েছে, সেগুলো ফেরত আনার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুযায়ী কাজ করার কথা বলেছেন জহুরুল। অর্থ পাচারের ব্যাপারে হাই কোর্ট সিদ্ধান্ত দিচ্ছে, আমাদের কাছে লিস্ট চাচ্ছে। আমরা লিস্টগুলো কোয়ারি করব, খুঁজব, দেখব। তারপর কোর্টকে জানাব। কোর্ট যে অ্যাকশন নিতে বলবে, সেই অ্যাকশন নেব। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ ও কমিশনার মো. জহুরুল হক গতকাল বেলা সোয়া ১১টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এলে তাদের কমিশন সচিব মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার অভ্যর্থনা জানান।

সর্বশেষ খবর