হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যটির ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান মমতা ব্যানার্জি। গত ১০ মার্চ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ‘নন্দীগ্রাম’ গিয়েছিলেন মমতা। এই কেন্দ্র থেকেই এবার তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন তিনি। ওই দিন ‘নন্দীগ্রাম’ কেন্দ্রের জন্য নিজের মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে ফেরার পথে বিকালে বিরুলিয়া বাজারে পায়ে গুরুতর চোট পান মমতা। এরপর ওই দিন রাতেই কলকাতায় ফেরেন। ভর্তি হন কলকাতার শেঠ সুখলাল কারনানি মেমোরিয়াল (এসএসকেএম) হাসপাতালে। দুই দিন সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। তার চিকিৎসার জন্য গঠন করা হয়েছিল ছয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড। গতকাল সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ তাকে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়। উডবার্ন ওয়ার্ড থেকে হুইলচেয়ারে করে হাসপাতালের বাইরে বেরিয়ে আসেন। এরপর অপেক্ষমাণ তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা হাততালি দিয়ে শুভেচ্ছা জানান দলনেত্রীকে। মমতাও সবার উদ্দেশ্যে হাত জোড়ে নমস্কার জানান।
তার পায়ে ছিল বিশেষ ধরনের চপ্পল। সঙ্গে ছিলেন তার ভাতিজা ও তৃণমূল কংগ্রেস সংসদ সদস্য অভিষেক ব্যানার্জি, নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
হাসপাতালের বাইরে এসে নিজের গাড়িতে ওঠেন তিনি। বসেন চালকের পাশের আসনে। এরপর সেই গাড়ি সোজা চলে আসে কালীঘাটের বাড়িতে।হাসপাতাল ছাড়ার ঠিক আগে হাসপাতালের ডিরেক্টর মণিময় ব্যানার্জি জানান, ‘ছয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড আবার মমতা ব্যানার্জির শারীরিক পরীক্ষা করেছে। তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিয়েছেন এবং তার শারীরিক উন্নতিও সন্তোষজনক। তার পায়ে যে প্লাস্টার করা হয়েছিল সেটি খুলে ভিতরের আঘাত পরীক্ষা করা হয় এবং পরে ফের প্লাস্টার করা হয়। তার অ্যাঙ্কেলে যে চোট ছিল সেটারও উন্নতি হয়েছে।’