১৭-২৬ মার্চ সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য ডিএমপির অফিসার ও ফোর্সদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ সময় আগত অতিথিদের নিরাপত্তায় প্রতিটি ভেন্যু নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। রাজধানীর রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে গতকাল বিকালে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন ও অপারেশন্স) ড. মো. মইনুর রহমান চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।

 সভায় ডিএমপির সব পর্যায়ের অফিসার ও ফোর্সের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ১০ দিন জরুরি প্রয়োজন ছাড়া জনগণের চলাচল সীমিত রাখার জন্য তিনি নগরবাসীর প্রতি আবারও অনুরোধ জানান। এ সময় রাজধানীতে কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং ইত্যাদি আয়োজন না করার জন্যও সবার প্রতি অনুরোধ জানান। বিদেশি মেহমানদের নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটে এ ধরনের কোনো কার্যক্রম পুলিশ বরদাস্ত করবে না জানিয়ে বাংলাদেশের মানুষের অনন্য সাধারণ এ উদযাপনকে ব্যাহত করতে যে কোনো প্রকার অপচেষ্টাকে কঠোর হাতে দমনের নির্দেশ দেন আইজিপি।

পুলিশ প্রধান বলেন, প্রতিটি ভেন্যুর বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এসব ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স প্রদর্শন করতে হবে। তিনি দেশ ও মানুষের সম্মান ও স্বার্থে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দৃঢ়চিত্তে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন। দায়িত্ব পালনকালে পুলিশ সদস্যদের পোশাকে, উপস্থাপনায়, সেবায় এবং দৃঢ়তায় নিজেদের উচ্চতাকে তুলে ধরতে হবে। কোনো প্রকার অপেশাদার আচরণ ও দায়িত্ব পালনে শিথিলতার বিন্দুমাত্র কোনো সুযোগ নেই। মানুষের সঙ্গে আচরণে বিনয়ী হতে হবে।

ড. মো. মইনুর রহমান চৌধুরী বলেন, যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি সমুজ্জ্বল রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও সদস্যদের জন্য থাকবে সম্মানজনক স্বীকৃতি।

মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, দেশ ও জনগণের স্বার্থ ও সম্মানে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক এ আয়োজনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কোনো প্রকার শৈথিল্য প্রদর্শন করবে না ডিএমপি।