জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জলে-স্থলে এবং আকাশপথে ত্রিমাত্রিক নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হবে। গুরুত্বপূর্ণ স্পটে চেকপোস্ট বসানো হবে। চেকপোস্টে অন-সাইট আইডেন্টিফিকেশন অ্যান্ড ভেরিফিকেশন সিস্টেম ডিভাইস বসানো হবে। এই ডিভাইসের মাধ্যমে অজ্ঞাতদের নাম-পরিচয় শনাক্ত করা যাবে। গতকাল দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
তিনি বলেন, ১৭ মার্চ থেকে আগামী ২৬ মার্চ পর্যন্ত কেন্দ্রীয়ভাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানগুলো ছাড়াও সারা দেশে আয়োজিত অনুষ্ঠানেও নিরাপত্তা দেবে র্যাব। যেহেতু এ সময়ের মধ্যে বিভিন্ন বন্ধুপ্রতিম দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা আসবেন এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করবেন। সেহেতু ঝুঁকি পর্যালোচনা করে পর্যাপ্ত পরিমাণ র্যাব সদস্য মোতায়েন করা হবে। পাশাপাশি পোশাকে ও সাদা পোশাকে অনুষ্ঠানস্থলে অবস্থান নেবে র্যাব। র্যাব সদর দফতরে একটি সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুম ও প্রতিটি ব্যাটালিয়নের কন্ট্রোল রুম থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ভেন্যুতে র্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ডগ স্কোয়াড ও স্পেশাল ফোর্সেস নজরদারি করবে।
তিনি বলেন, জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে পাঁচ দেশের যেসব রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধানরা আসবেন তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আমাদের সদস্যরা পর্যবেক্ষণ ও সমন্বয় করবেন। গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পর্যাপ্ত সংখ্যক মোবাইল ও টহল দল নিয়োজিত থাকবে। বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ দলও থাকবে।অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের হুমকি আছে কি না এমন প্রশ্নে র্যাব প্রধান বলেন, কোনো ধরনের হুমকি নেই। এ ছাড়া কোনো ধরনের নিরাপত্তা বিঘিœত হওয়ার আশঙ্কা নেই। তবে অনাকাক্সিক্ষত কোনো ঘটনা ঘটলে তা মোকাবিলা করার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি। র্যাবের সাইবার মনিটরিং টিম সার্বক্ষণিকভাবে নজরদারি অব্যাহত রাখছে।
কয়েকটি সংগঠন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা আশা করছি দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে তারা এ ধরনের কর্মসূচি পালন করবে না। তারপরও যদি কেউ এ ধরনের কর্মসূচি থেকে বিরত না থাকে তাহলে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
