বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে চীন সব সময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি আরও বলেন, ৪৬ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্কে আমরা  উভয়েই উভয়ের প্রতি সম্মান এবং সমতার সঙ্গে আচরণ করে আসছি। আমরা একে অন্যকে সমর্থন করেছি এবং উন্নয়নের পথে একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। ভবিষ্যতেও উভয় দেশের মধ্যে এমন আন্তরিক সম্পর্ক বিদ্যমান থাকবে।

শি জিন পিং বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চীনের দীর্ঘদিনের একজন ভালো বন্ধু ছিলেন। ১৯৫২ ও ১৯৫৭ সালে চীন সফরকালে তিনি মাও সেতুংসহ সে সময়ের অন্য শীর্ষ চীনা নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করেছেন। আমরা কখনই আমাদের পূর্বসূরিদের ভুলব না। তারা দুই দেশের মধ্যকার সুসম্পর্কের যে ভীত তৈরি করে দিয়ে গেছেন, আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে তা নতুন প্রজন্মকে বুঝিয়ে দেওয়া।

বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেরও প্রশংসা করে চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দারুণ কিছু সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশ পুনর্গঠন ও উন্নয়নের দিকে মনোযোগী হয়েছে এবং দ্রুত বর্ধনশীল বিশ্বের কাতারে নিজেদের স্থান করে নিয়েছে। ৬ শতাংশের অধিক জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) মাধ্যমে বাংলাদেশ তার দেশের মানুষের জীবনকে উন্নত করছে এবং বিশ্ব থেকে দারিদ্র্য দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

প্রায় ৬ মিনিটের ভিডিও বার্তায় চীন ও বাংলাদেশের মধ্যকার দীর্ঘদিনের সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করে শি জিন পিং বলেন, চীন ও বাংলাদেশ সবসময়ই বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী দেশ। ঐতিহাসিক সিল্ক রোড বছরের পর বছর ধরে দুই দেশের সেই সুসম্পর্কের সাক্ষী হয়ে আছে।