সোমবার, ২২ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

সাকিবের বক্তব্যে তোলপাড়

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সাকিব আল হাসানের দাবি, তিনি শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়ে দুই টেস্ট খেলার পরিবর্তে আইপিএল খেলার ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, বিসিবি তা ভিন্নভাবে উপস্থাপন করেছে। তার চিঠির ভুল ব্যাখ্যা করেছে  বিসিবি। নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে একটি সংবাদ মাধ্যমের ফেসবুক লাইভে এসব কথা বলেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। মাত্র চার মাস পরেই ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে টি-২০ বিশ্বকাপের আসর। বিশ্বকাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ভারতীয় জনপ্রিয় টি-২০ লিগ আইপিএলে খেলতে চান সাকিব। তবে আইপিএল চলাকালীন সময়ে বাংলাদেশ দল শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়ে দুটি টেস্ট খেলবে। নিজের অবস্থান ও পরিকল্পনার কথা জানিয়ে বিসিবিকে চিঠি দিয়েছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। আইপিএলে খেলার জন্য ছুটি চেয়েছেন। ছুটি পেয়েছেনও। কিন্তু এরপর সমালোচনা হয়, সাকিব টেস্ট খেলতে চান না!

অবশেষে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে সাকিব বলেন, ‘শুধু কথা হচ্ছে আমি টেস্ট খেলতে চাই না। আমি নিশ্চিত বিসিবিকে যখন চিঠি দিয়েছি, যারাই বলছে যে আমি টেস্ট খেলতে চাই না বা টেস্ট খেলব না, তারা চিঠিটা পড়েনি। এটা হচ্ছে একদম বড় কথা। আমি আমার চিঠিতে কোথাও উল্লেখ করিনি যে আমি টেস্ট খেলতে চাই না। আমি শুধু উল্লেখ করেছি, আমি বিশ্বকাপ প্রস্তুÍতির জন্য এই সময়টাতে আইপিএল  খেলতে চাই। শুধু এইটুকুই বলেছি।’

বিশ্বকাপের প্রস্তুতির বিষয়টি সামনে এনে সাকিব বলেন, ‘এই বছরের শেষেই ভারতে টি-২০ বিশ্বকাপ আছে। যেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে আমাদের অনেক কিছু অর্জনের সুযোগ আছে। এই দুইটা টেস্টে সেই সুযোগ নেই। অবশ্যই দল হিসেবে যদি দুইটা টেস্ট জিতি তাহলে অনেক ভালো।’ ‘আমি আইপিএল যেসব মাঠে খেলব, যেসব ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে লড়াই করব সেই একই মাঠ এবং ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে চার মাস পরেই বিশ্বকাপে লড়াই করব। সে কারণেই আমি আইপিএলে খেলতে চেয়েছি। সে কথা আমার সতীর্থদের সঙ্গেও শেয়ার করেছি।’ তার চিঠির ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে দাবি করে সাকিব বলেছেন, ‘আকরাম ভাই (বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান আকরাম খান) বার বার বলেছেন, আমি খেলতে চাই না। আমার ধারণা উনি চিঠিটি পড়েননি। আমি পাপন ভাইকে (বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান) ধন্যবাদ দিতে চাই, উনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। খেলোয়াড়দের এই স্বাধীনতা দেওয়া উচিত। বোর্ড কিংবা বোর্ড প্রধান যদি কোনো ক্রিকেটারকে এভাবে সাহায্য করে, তাহলে ক্রিকেটারের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। পরে ক্রিকেটারদের জাতীয় দলের প্রতি দায়বদ্ধতাও বেড়ে যায়। সেদিক থেকে পাপন ভাইকে ধন্যবাদ দিতে চাই।’ সাকিবের বয়স এখন ৩৪। কয়েক বছর পরই খেলোয়াড় হিসেবে অবসর নিতে হবে। তবে এরপর ক্রিকেট প্রশাসনে যুক্ত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন সাকিব। বিসিবির সর্বোচ্চ পদে সবচেয়ে ভালো করার ব্যাপারেও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তিনি। সাকিব বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, কখনো যদি বিসিবির সভাপতির মতো পদে যেতে পারি তাহলে আমি যে কাজ করব ওটা বাংলাদেশের আর কেউ করতে পারবে না। অবশ্যই, ক্রিকেটে থাকলে আর বিসিবি সভাপতি হওয়ার সুযোগ আসলে আমি হতে চাইব। আমি জানি, আমি বিসিবির ইতিহাসের সেরা সভাপতি হব। খুব ভালোভাবে বিশ্বাস করি, আমার পক্ষে এটা সম্ভব।’ সাকিবের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মিডিয়াকে আকরাম খান বলেন, ‘খেলোয়াড় থাকাবস্থায় আমরা কখনো বোর্ডের বিরুদ্ধে কিছু বলিনি।’

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর