শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২৩ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

পি কে হালদারের সহযোগী শুভ্রা রানী বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার

বিশেষ প্রতিনিধি

বিদেশে পলাতক এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) দুর্নীতিতে সহযোগিতার অভিযোগে ওয়াকামা ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি কোম্পানির পরিচালক শুভ্রা রানী ঘোষকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুপুরে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানান।

দুদকের অনুসন্ধানকারী সূত্র জানায়, গ্রেফতার হওয়া শুভ্রা রানী ঘোষ যুক্তরাষ্ট্র থেকে কাতার এয়ারওয়েজে দেশে ফিরছিলেন। গ্রেফতারের পর তাকে সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখান থেকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয় দুদক। এর আগে রবিবার ওয়াকামা ইন্টারন্যাশনাল নামের ওই কাগুজে কোম্পানির পরিচালকসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় পি কে হালদারের সহযোগিতায় ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে ৮৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা ঋণের নামে তুলে আত্মসাৎ এবং পাচারের অভিযোগ আনা হয়। পি কে হালদারের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এর আগে তার বান্ধবী নাহিদা রুনাই, অবন্তিকা বড়ালসহ বেশ কয়েকজন গ্রেফতার করে দুদক। আদালত প্রতিবেদক জানান, শুভ্রা রানী ঘোষকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ রিমান্ডের এ আদেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসামিকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। এ সময় দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। এ ছাড়া আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। শুনানি শেষে আদালত রিমান্ডের আদেশ দেয়।

 রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, শুভ্রা রানীসহ ১১ আসামি প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির আশ্রয়ে অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গ করে ক্ষমতার অব্যবহারের মাধ্যমে ভুয়া প্রতিষ্ঠান ওকায়ামা লিমিটেডের নামে জাল রেকর্ডপত্র প্রস্তুত করে তা সঠিক হিসেবে ব্যবহার করে অস্থিত্ববিহীন প্রতিষ্ঠানের মালিককে ভুয়া ঋণ পেতে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করে। সংশ্লিষ্ট ঋণের গ্রহীতা ওকায়ামা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের পরিচালকেরা ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ মাধ্যমে ৮৭ কোটি ৬০ লাখ টাকার ভুয়া ঋণের কাগজপত্র প্রস্তুত করে। তা সঠিক হিসেবে ব্যবহার করে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড কর্মকর্তা এবং বোর্ড সংশ্লিষ্ট সদস্যদের প্রত্যক্ষ সহায়তায় ৮৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে ওই অর্থ বিভিন্ন লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন করে পাচার করে। পাচার করা অর্থ স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন পূর্বক পাচারসহ মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধের অধিকতর তথ্য উদ্ধারের জন্য তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর