বুধবার, ২৪ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

যুক্তরাষ্ট্রে সুপার মার্কেটে নির্বিচার গুলি, নিহত ১০

যুুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি

যুক্তরাষ্ট্রের কলরাডো স্টেটের বোলডার সিটিতে সুপার মার্কেটে সোমবার বেলা আড়াইটায় নির্বিচার গুলিবর্ষণে এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১০ জন নিহতের খবর দিয়েছে সেখানকার পুলিশ। বন্দুকধারীকে আহত অবস্থায় গ্রেফতারের পর নিকটস্থ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় বোলডার সিটির পুলিশ প্রধান, ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি এবং ইউএস অ্যাটর্নি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, এআর-১৫ স্টাইলের অটোমেটিক রাইফেল দিয়ে গুলি চালানো হয় কিং সুপার গ্রোসারির ভিতর। ছয় দিন আগে প্রায় একই সময়ে জর্জিয়া স্টেটের আটলান্টায় খুব কাছাকাছি দূরত্বে অবস্থিত তিনটি ম্যাসেজ পারলারে নির্বিচার গুলিবর্ষণের ঘটনায় ছয় এশিয়ান নারীসহ আটজনের প্রাণ ঝরেছে। সেটিকে জাতিগত বিদ্বেষী হামলা হিসেবে অভিহিত করা হলেও কলরাডোর এই বন্দুক হামলার মোটিভ সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানাতে পারেননি বোলডার ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি। এমনকি বন্দুকধারীর পরিচয়ও  প্রকাশ করেননি তারা। আটলান্টার মতো এ হামলায়ও একজনই অংশ নেয় বলে পুলিশ প্রধান ম্যারিস হেরল্ড মনে করছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংবাদ জেনে টহল পুলিশের অফিসার এরিক টেলি (৫১) সুপার মার্কেটে ঢুকে বন্দুকধারীকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। সে সময়ই দুর্বৃত্তের গুলিতে তার মৃত্যু হয়। এ হামলার পর আমেরিকায় ভীতিকর অবস্থা তৈরি হয়েছে। আগের মঙ্গলবার আটলান্টার হত্যাকান্ডে এশিয়ান-আমেরিকান কমিউনিটিতে সন্ত্রস্ত অবস্থা বিরাজ করলেও কলরাডোর এ হামলায় সবাই ভীতির মধ্যে পড়েছেন। এদিকে, ইউএস কংগ্রেসের নীতিনির্ধারকরা পুনরায় সরব হয়েছেন বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইন তৈরির ব্যাপারে। ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যানরা ইতিমধ্যেই বন্দুক ক্রয়ে আগ্রহী ব্যক্তির ব্যাকগ্রাউন্ড খতিয়ে দেখার বিধি তৈরির একটি বিল উত্থাপন করলেও ট্রাম্পের সমর্থক রিপাবলিকানরা তার বিরোধিতা করছেন। এদিকে, হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ সংবাদে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি কলরাডো প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন সর্বশেষ পরিস্থিতি জানার জন্য। আটলান্টায় ম্যাসেজ পারলারে গুলিবর্ষণের পর বাইডেন সেখানে গিয়েছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে সঙ্গে নিয়ে। এশিয়ান-আমেরিকান নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। যদিও ঘটনার ছয় দিন পর পর্যন্ত আটলান্টায় নির্বিচার গুলিবর্ষণের জন্য আটক ঘাতকের বিরুদ্ধে ‘হেইট ক্রাইম’র অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। কলরাডোর এ ঘটনায় নিহত এবং গ্রেফতার বন্দুকধারীর পরিচয় জানার পরই অনুমান করা যাবে হামলার মোটিভ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর