বুধবার, ২৪ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ঢাকায়, স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ঢাকায়, স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন

দুই দিনের সরকারি সফরে গতকাল ঢাকা এসেছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন অনুষ্ঠানে ভুটানের রাজার বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে তিনি বাংলাদেশে এসেছেন। আজ জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে মুজিব চিরন্তন অনুষ্ঠানে তিনি সম্মানিত অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন।

ভুটানিজ এয়ারলাইনস দ্রুক এয়ারের একটি বিশেষ ফ্লাইটে গতকাল সকালে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান ডা. লোটে শেরিং। বিমানবন্দরে তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় ২১ বার তোপধ্বনি দেওয়া হয়। বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। পরে তিনি প্যারেড পরিদর্শন করেন। বিমানবন্দর থেকে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যান এবং সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি পরিদর্শন বইতে লেখেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী বাংলাদেশের সাহসী সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো আমার জন্য সম্মানের বিষয়। তাদের এই ত্যাগ বাংলাদেশের ইতিহাসের পাতায় সমুজ্জ্বল থাকুক।’ স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে তিনি একটি লটকন ফল গাছের চারাও রোপণ করেন। এ ছাড়া ২০১৯ সালে সেখানে তাঁর রোপণ করা মিমুসোপস ইলাঙ্গি ভ্যারিগাতা চারাগাছটিও তিনি পরিদর্শন করেন। পরে তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে যান। তিনি স্মৃতি জাদুঘর ঘুরে দেখেন এবং সেখানে রাখা পরিদর্শক বইয়ে স্বাক্ষর করেন। পরে বিমসটেক সেক্রেটারি জেনারেলের বাসভবনে সেক্রেটারি জেনারেল ও ডিরেক্টরদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন হোটেলের প্রেসিডেন্টশিয়াল স্যুটে শেরিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সন্ধ্যায় ভুটানের প্রধানমন্ত্রী একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন। পরে তাঁর সম্মানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া ভোজসভায় তিনি যোগ দেন। বিকালে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের এই বিশাল অর্জনে যোগ দিতে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী যে বাংলাদেশে এসেছেন তাতে আমরা তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ। কারণ এই সফর শেষ করে প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিংসহ পুরো প্রতিনিধিদলকে ২১ দিনের কোয়ারেন্টাইন করতে হবে। সফরসূচি অনুসারে, আজ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে শেরিংয়ের দ্বিপক্ষীয় আলোচনা হবে। এ ছাড়া তাঁর হোটেল স্যুটে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ভিনসেন্ট চাং এবং শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির ডা. মো. মামুন খানের সঙ্গে আলাদা সাক্ষাৎ হবে। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে গিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। বিকালে শেরিং সম্মানিত অতিথি হিসেবে ন্যাশনাল প্যারেড স্কয়ারের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে স্বাগত জানাবেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর