শিরোনাম
শুক্রবার, ২৬ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

আজ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী

মাহমুদ আজহার ও রফিকুল ইসলাম রনি

আজ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী

আজ ২৬ মার্চ, মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। একসাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির দিন। অন্য যে কোনো দিনের চেয়ে আজকের দিনটি সম্পূর্ণ আলাদা। ভিন্ন আমেজ, ভিন্ন অনুভূতির। একদিকে বাংলাদেশের স্থপতি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, অন্যদিকে আজ ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। ইতিহাসের এ মাহেন্দ্রক্ষণে দুই উৎসব মিলিয়ে এক অন্যরকম বাংলাদেশ। জাতীয় জীবনের এ মহিমান্বিত সময়কে কালের রেখায় ধরে রাখতে রাজধানীর জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে চলছে ১০ দিনব্যাপী উৎসবের মহাযজ্ঞ। আজ এ আনন্দোৎসবের শেষ দিন। ঢাকাসহ সারা দেশের শহর-বন্দর জুড়ে এখন রঙিন আলোর ঝলকানি। সত্যিই এক অন্যরকম অনুভূতি নিয়ে জাতির সামনে এসেছে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী- বিশেষ এ দিন দুটি শুধু বাংলাদেশের মধ্যেই এখন সীমাবদ্ধ নয়, বৈশ্বিক রূপ নিয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান বাংলাদেশ সফর করেছেন। আজ বাংলাদেশ সফরে আসছেন বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ ভোরে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহান মুক্তিযুদ্ধের অমর শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন শুরু হবে। সারা দেশেই থাকছে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে ‘মুজিব চিরন্তন’ শীর্ষক মূল প্রতিপাদ্যের ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার শেষ দিন আজ। বিকালে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে অনুষ্ঠেয় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। প্রধান অতিথি থাকবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে দেশবাসী এবং একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ১৯৭১ থেকে ২০২১- স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে নতুন মর্যাদায় আসীন। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সারা বিশ্বেই এখন প্রশংসিত হচ্ছে। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে নয় মাসব্যাপী রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে আমরা অর্জন করি স্বাধীনতা। স্বাধীনতালাভের পর বাংলাদেশকে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে দারিদ্র্য আর দুর্যোগের সেই বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তরণের পথে। এই সময়ে অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়েছে। বেসরকারি খাত বিকশিত হয়েছে ব্যাপকভাবে। প্রবাস থেকে আসছে বড় অঙ্কের রেমিট্যান্স। কৃষি খাতের উন্নয়ন বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। দেশের তৈরি পোশাকশিল্প, মাছ উৎপাদন ও রপ্তানি, ওষুধশিল্প সারা বিশ্বেই সমাদৃত। এ ছাড়া স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিসহ আর্থসামাজিক প্রতিটি সূচকে এগিয়েছে বাংলাদেশ। গড় আয়ু, লিঙ্গসমতা, সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা, নারী শিক্ষা, নারীর রাজনৈতিক অধিকার, নারী ও শিশু মৃত্যুহার, স্যানিটেশন, খাদ্যপ্রাপ্যতা ইত্যাদি নানা সূচকে বাংলাদেশ শুধু ভারত, পাকিস্তানসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর চেয়ে এগিয়ে নয়; অনেক ক্ষেত্রে অনেক উন্নত দেশকেও ছাড়িয়ে গেছে। ২০০৫-০৬ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ৫৪৩ মার্কিন ডলার। বর্তমানে যা ২ হাজার ৬৪ ডলার। ওই সময়ে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪১ দশমিক ৫ শতাংশ। বর্তমানে দারিদ্র্যের হার কমে দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৫ শতাংশে। জিডিপির আকার ৪ লাখ ৮২ হাজার ৩৩৭ কোটি থেকে ২৮ লাখ কোটি টাকা হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ছিল মাত্র শূন্য দশমিক ৭৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থাৎ ১ বিলিয়ন ডলারের কম যা বর্তমানে ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে। ২০০৫-০৬ অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল ৬১ হাজার কোটি টাকা। বর্তমান অর্থবছরে আমাদের বাজেটের আকার ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। মানুষের গড় আয়ু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২ দশমিক ৬ বছরে। শিশুমৃত্যু হার কমে প্রতি হাজারে ৮৪ থেকে ২৮ এবং মাতৃমৃত্যু হার প্রতি লাখে ৩৭০ থেকে ১৬৫ জনে দাঁড়িয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ৪ হাজার ৯০০ মেগাওয়াট থেকে ২৪ হাজার ৪২১ মেগাওয়াটে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদ্যুৎ সুবিধাভোগী জনসংখ্যা ৪৭ থেকে ৯৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এ প্রাপ্তি নিয়েই এবার বাংলাদেশ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন করছে। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ সম্প্রতি একটি প্রবন্ধে লিখেছেন, ‘বিজয় অর্জনের পর ৫০ বছরের পথচলায় দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। একাত্তরে স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা একটি স্বতন্ত্র দেশ পেয়েছি, আর তাঁরই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গড়ে তুলতে চলেছি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।’ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বাঙালির জীবনে নিয়ে এসেছে এক ভিন্নরকম বিশ্ব পরিস্থিতি। সারা বিশ্ব আজ আক্রান্ত প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। হঠাৎ করেই সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন, ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনসহ সব কর্মসূচি কিছুটা সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। সব কর্মসূচিই হবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাঙালি জাতি আজ দৃঢ় শপথে বলীয়ান হবে সব অন্ধকারের শক্তিকে পরাজিত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে গড়ে তোলার লক্ষ্যে। ইতিহাস বিশ্লেষকরা বলছেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজ শুধু সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালিই নন, বিশ্বের শোষিত-বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির প্রেরণাদাতা হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। তাঁরই নির্দেশিত পথে তাঁরই কন্যার হাত ধরে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের বিস্ময়, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রাণশক্তি, সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর মাহেন্দ্রক্ষণেই বাংলাদেশ পেয়েছে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। শোষিত ও নির্যাতিত মানুষের স্বাধীনতার আকাক্সক্ষা রক্তের বন্যায় ডুবিয়ে দিতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে শুরু করে নিষ্ঠুর গণহত্যা। সে কালরাতেই শুরু হয় মৃত্যু, ধ্বংস, আগুন আর আর্তনাদের পৈশাচিক বর্বরতা। কিন্তু ওই ঘোরতর অমানিশা ভেদ করেই দেশের আকাশে উদিত হয় স্বাধীনতার চিরভাস্বর সূর্য।

 

দিনভর কর্মসূচি : আজ ভোরে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন শুরু হবে। সারা দেশেই থাকছে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি। এ ছাড়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে ‘মুজিব চিরন্তন’ শীর্ষক মূল প্রতিপাদ্যের ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার শেষ দিন আজ। জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে আয়োজিত অনুষ্ঠান টেলিভিশন ও বেতার চ্যানেল, অনলাইন মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

আলোচনা পর্বে স্বাগত বক্তব্য দেবেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি। আলোচনা পর্বে সম্মানিত অতিথি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং প্রধান অতিথি রাষ্ট্রপতি বক্তব্য প্রদান করবেন। এরপর সম্মানিত অতিথিবৃন্দকে ‘মুজিব চিরন্তন’ শ্রদ্ধাস্মারক প্রদান করা হবে। অনুষ্ঠানের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রদানের পর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর লোগো উন্মোচন করা হবে।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বে বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের প্রখ্যাত শাস্ত্রীয় সংগীতজ্ঞ পন্ডিত অজয় চক্রবর্তীর পরিবেশনায় বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করে নবনির্মিত রাগ ‘মৈত্রী’ পরিবেশনা, ‘পিতা দিয়েছে স্বাধীন স্বদেশ, কন্যা দিয়েছে আলো’ শীর্ষক থিমেটিক কোরিওগ্রাফি, ‘বিন্দু থেকে সিন্ধু’ শীর্ষক তিনটি কালজয়ী গান, ঢাকঢোলের সমবেত বাদ্য ও কোরিওগ্রাফি সহযোগে ‘বাংলাদেশের গর্জন : আজ শুনুক পুরো বিশ্ব’ এবং সবশেষে ‘ফায়ার ওয়ার্কস ও লেজার শো’র মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হবে।

সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি কূটনীতিকবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। আজ সরকারি ছুটি। সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা এবং ঢাকা শহরে উঁচু ভবনসমূহে বৃহদাকারের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে। ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকা ও অন্যান্য পতাকায় সজ্জিত করা হয়েছে।

 

আওয়ামী লীগের কর্মসূচি : সূর্যোদয়ক্ষণে বঙ্গবন্ধু ভবন, কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারা দেশে সংগঠনের সকল কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল ৭টায় জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। সকাল ৮টায় ধানমন্ডি ৩২-এ ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মেনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করবে।

দোয়া মাহফিল ও বিশেষ প্রার্থনা সভা : এদিন মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ দেশের সব মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল। সকাল ৮টায় তেজগাঁও গির্জায়, সন্ধ্যা ৬টায় মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চে প্রার্থনা অনুষ্ঠান। টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ ছাড়া আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন করছে। মুক্তিয্দ্ধু জাদুঘর প্রতি বছরের মতো এবারও ‘শোক থেকে শক্তি : অদম্য পদযাত্রা’ আয়োজন করেছে। আজ সকাল ৬টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হবে অদম্য পদযাত্রা। সেখান থেকে রওনা হয়ে সন্ধ্যায় সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পৌঁছে শপথ নেবেন পদযাত্রীরা।

সর্বশেষ খবর