শুক্রবার, ২ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা
ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা পরিদর্শন

রাজনীতির নামে ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড করতে দেওয়া হবে না : আইজিপি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হামলার ঘটনায় তদন্তে যাদের নাম আসবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, রাজনীতি করার অধিকার সবার আছে। কিন্তু রাজনীতির নামে ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড করতে দেওয়া হবে না।

গতকাল বিকালে শহরের সার্কিট হাউসে এক প্রেস বিফ্রিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। আইজিপি ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাগুলো পরিদর্শন করেন। প্রথমে ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তন পরিদর্শন করেন তিনি। এরপর পৌরসভা কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের বঙ্গবন্ধুর ক্ষতিগ্রস্ত ম্যুরাল, দি আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গন, সদর উপজেলা ভূমি অফিস ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবসহ বেশ কয়েকটি  ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা পরিদর্শন করেন। প্রেস ক্লাব ও সুর সম্রাট আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গনকে অনুদান দেন তিনি। আইজিপি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনা পুলিশ কেন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনি, সেটা দেখা হচ্ছে। মাইকিং করে পুলিশের আত্মরক্ষার কৌশল অপেশাদার। অপেশাদার পুলিশের দরকার নেই বলেও তিনি জানান। তিনি বলেন, পুলিশের কাছে ভিডিও ফুটেজ ও স্টিল ছবি আছে। ছবি দেখে অপরাধীদের শনাক্ত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আপনারা কাকে কষ্ট দিচ্ছেন? এসিল্যান্ড কার্যালয় পুড়িয়েছেন, কার্যালয়ের রেকর্ড রুম পুড়িয়েছেন, এতে তো গ্রামের সাধারণ মানুষ কষ্ট করবে। রেলওয়ে স্টেশন পুড়িয়েছেন, স্টেশনের কন্ট্রোল প্যানেল ভাঙচুর করে পুড়িয়েছেন, এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাধারণ মানুষ কষ্ট করছে। রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি ধ্বংস করছেন কেন? আপনাদের ক্ষোভ কি বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে? তিনি বলেন, রক্তের হোলি খেলা গণতান্ত্রিক দেশে বরদাস্ত করা হবে না। ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী একা নন, সমগ্র দেশবাসী ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর সঙ্গে আছে। আমরা ভয়কে অতিক্রম করব। সবাই মিলে আমরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করব। আইজিপি বলেন, যারাই এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সবার মাঝে শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। তিনি বলেন, মাদরাসায় এতিম শিশু ও দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের দিয়ে রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫৭৪টি মাদরাসা রয়েছে। এলাকার লোকজনই এর খেদমত করছেন। এখন খেদমত করতে গিয়ে প্রতিশোধের শিকার হচ্ছেন। পুলিশ প্রধানের সঙ্গে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, পুলিশের স্পেশাল শাখার প্রধান মনিরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. আনোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান ও পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আনিসুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর