মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা
কে ন স চে ত ন তা জ রু রি

সচেতনতার বিকল্প নেই

----- ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার

রফিকুল ইসলাম রনি

সচেতনতার বিকল্প নেই

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার বলেছেন, ‘করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে হলে আমাদের সচেতন হতে হবে। ব্যক্তিসচেতনতাই পারে এ রোগ প্রতিরোধ করতে। কারণ মানুষ থেকে এ রোগ ছড়ায়। এজন্য সবাইকে সচেতন হতে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সচেতনতার বিকল্প নেই।’ গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বিশেষজ্ঞ এই চিকিৎসক বলেন, ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আগের তুলনায় অনেক শক্তিশালী। করোনা এবার  ধরন পাল্টে আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে এসেছে। তবে নতুন স্টেইন এখনো শনাক্ত হয়নি। জনগণ যে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মানছে তা বলা যাবে না। অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানতে উদাসীনতা দেখাচ্ছে; যা সবচেয়ে ক্ষতিকর।’

করোনা আক্রান্তকে সবচেয়ে বেশি সুরক্ষিত থাকার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘করোনা আক্রান্তকে আইসোলেশনে থাকতে হবে। তার সংস্পর্শে আসাদের শনাক্ত করে কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হবে। তাদের চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করতে হবে। করোনায় আক্রান্ত যদি মাস্ক না পরেন তাহলে রোগ ছড়াবেন বেশি। অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন, কিন্তু প্রথম দিকে বুঝতে পারছেন না। শেষ মুহূর্তে যখন বুঝতে পারেন তখন হয়তো অনেক ব্যক্তিকে আক্রান্ত করেছেন। কারণ তার সঙ্গে যারাই এসেছেন তারাই আক্রান্ত হয়েছেন।’

অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ সিকদার বলেন, ‘আগের চেয়ে করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ রোগীর চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হতে যাচ্ছে। কারণ কভিড বেডের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে না। ফলে অন্যান্য রোগে আক্রান্তদের সেবা ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা আছে। আবার অনেকেই সাধারণ রোগে আক্রান্ত হলে করোনার কারণে হাসপাতালে আসতে চান না। কাজেই আমাদের করোনা রোগীর সংখ্যা কমাতে হবে। আমরা যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি তাহলে আগামী দুই সপ্তাহে করোনা রোগীর সংখ্যা কমানো যাবে। আমরা করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হব। এজন্য আমাদের সবাইকে সচেতন হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হবে। কারণ অনেক রোগীকে সাধারণ অক্সিজেন দিয়ে কাজ হয় না। তাকে হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা দিতে হবে। আমাদের সরকারি বা বেসকারি হাসপাতালে এ সেবা দেওয়ার সুযোগ কম রয়েছে।’

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর