মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

ব্যবসায়ী ও আমলাদের হাতে এখন রাজনীতি

-জাফরুল্লাহ চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, রাজনীতি এখন আমলা ও ব্যবসায়ীদের হাতে চলে গেছে। রাজনীতি রাজনীতিবিদদের করতে দিন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সেই এলাকার এমপি একজন আমলা। তার কোনো রাজনৈতিক কর্মী নেই। তার রয়েছে পুলিশ আর হেলমেট বাহিনী। গতকাল দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেজর হায়দার মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘটিত হত্যা ও ধ্বংসাত্মক ঘটনা সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে সেই অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে গণফোরাম থেকে সদ্য পদত্যাগী নেতা ড. রেজা কিবরিয়া, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের নেতা মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, নারীর জন্য সুশাসনের নির্বাহী পরিচালক রুবী আমানউল্লাহ, পানি বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক, ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, হেফাজতের কর্মকান্ড কোনোভাবেই আমরা সমর্থন করি না। তবে তাদের মিটিং-মিছিল করাটাকে সমর্থন করি। এটা তাদের মৌলিক অধিকার। আমরা ১৪ সদস্যের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। সেখানে স্থানীয় জনগণ, আওয়ামী লীগ, পুলিশ ও হেফাজতের লোকজনের বক্তব্য শুনেছি এবং দেখেছি। আমাদের কাছে মনে হয়েছে যে, এ হামলার সঙ্গে তৃতীয় কোনো রাষ্ট্রের ইন্ধন রয়েছে। এ ছাড়া রেলস্টেশনে আগুনের ঘটনা সাত দিন আগে ঘটলেও ৩ এপ্রিল আমরা সেখানে গিয়ে দেখেছি আগুন তখনো জ্বলছে। এটা কেন? এটা কাকে দেখানোর জন্য। তাহলে এটা কী হেফাজতে ইসলাম, নাকি জনগণ, নাকি অন্য কোনো তৃতীয় পক্ষ এখানে জড়িত? সংবাদ সম্মেলনে তিনটি প্রস্তাব তুলে ধরেন গণসংহতি আন্দোলনের নেতা জোনায়েদ সাকি। সেগুলো হলো- হতাহতদের তালিকা প্রকাশ করে হত্যার তদন্ত ও সঠিক বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবি, বায়তুল মোকাররম থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পর্যন্ত পুরো ঘটনার বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত এবং অজ্ঞাতনামা হিসেবে ২০ হাজারের অধিক মানুষের নামে যে মামলা দেওয়া হয়েছে- সেগুলোর নামে হয়রানি বন্ধ করতে হবে। ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, মানুষ এখনো কথা বলতে পারে না। অজ্ঞাতনামা মামলা দিয়ে মানুষকে আটকানোর সুযোগ হয়েছে। সবাইকে এ ধরনের অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন, সেখানে একটি শিশুর শরীর গুলিবিদ্ধ হয়েছে। অথচ সে চিকিৎসা নিতে যেতে পারছে না। এ ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর