বৃহস্পতিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

রাজধানীতে রাইড শেয়ারিং সেবা চালুর দাবিতে বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীতে রাইড শেয়ারিং সেবা চালুর দাবিতে বিক্ষোভ

রাইড শেয়ারিংয়ের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দাবিতে গতকাল মগবাজার মোড় অবরোধ করলে পুলিশ লাঠিচার্জে ছত্রভঙ্গ করে দেয় -রোহেত রাজীব

করোনা মহামারীর কড়া নিষেধাজ্ঞার মুখে রাজধানীতে অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং মোটরসাইকেল সেবা চালুর দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। চলতি সপ্তাহজুড়ে নগরীতে এমন বিক্ষোভ করছেন মোটরসাইকেল চালকরা।

গতকাল তারা সকাল থেকেই মগবাজার, বেইলি রোড, শ্যামলী, এয়ারপোর্ট ও তেজগাঁওয়ের মতো নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক স্বল্প সময়ের জন্য অবরোধ করে তাদের জীবন ও জীবিকার নিশ্চয়তা চেয়েছেন। তারা বলেছেন- আমাদের কারও টানা কয়েক দিন বসে খাওয়ার মতো টাকা নেই। এটার ওপর নিষেধাজ্ঞা হলে, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আগেই মারা যাব। তারপর নগরীতে বাস চলছে। বাইকারদের নিয়েই কেন সমস্যা হচ্ছে? সরকারের নিয়মে সবাই চালাতে পারলে আমরা কেন পারব না?

গতকাল রাজধানীজুড়ে রাইড শেয়ারিং মোটরসাইকেলচালকদের ওই বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে মগবাজারে প্রায় আধা ঘণ্টার বিক্ষোভে যান চলাচল ব্যাহত হয়। সেখানে প্রায় ২০০ মোটরসাইকেলচালক বিক্ষোভ করেছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। সেখান থেকে বিক্ষোভকারীরা পরে চলে যান বেইলি রোডে, তারপর শ্যামলীতে। এর আগে রাইড শেয়ারিং সেবা মোটরসাইকেলের মাধ্যমে যাত্রী পরিবহনে গত ৩১ মার্চ থেকে নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। এই নিষেধাজ্ঞা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে সরকার।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা রাইড শেয়ারিং ড্রাইভার্স ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. এহসানুল হক গণমাধ্যমকে বলেন- লকডাউনকে প্রচ- ভয় পাই। এটা শুনলেই কষ্ট হয়। লকডাউন মানেই পরিবারে কান্না দেখা, লকডাউন মানেই না খেয়ে থাকা, লকডাউন মানেই অজানা শঙ্কা কাজ করা। ঢাকার অ্যাপভিত্তিক মোটরসাইকেলচালকদের বেশির ভাগই শিক্ষিত। ফলে কারও কাছে হাত পাতার সুযোগও নেই। তার মতে, প্রতিটি মোটরযান খুলে দেওয়ার পরও মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ারিং অ্যাপ বন্ধ রাখার কোনো যৌক্তিকতা দেখছেন না। তিনি বলেন, গত বছরের লকডাউনের পর থেকে আমাদের অবস্থা করুণ। অনেকের কাছ থেকে তখন ঋণ নিয়েছি। সেটা এখনো পরিশোধ করতে পারিনি। শেয়ারিংয়ে টাকা দেওয়ার পর অল্প টাকা থাকে। সেটাও বন্ধ। এদিকে রাজধানীতে কয়েকজন বিক্ষোভকারী আলাপকালে এই প্রতিবেদককে তাদের দুঃখ ও দুর্দশার কথা তুলে ধরতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর