শুক্রবার, ৯ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি চাঙা করাই বাজেটের মূল লক্ষ্য : অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আসছে বাজেটের মূল লক্ষ্য হবে অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিকে চাঙা করা। করোনাভাইরাস মহামারীর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে আসন্ন বাজেটে নানা কর্মসূচি নেওয়া হবে। গতকাল অনলাইন প্ল্যাটফরমে আয়োজিত এক প্রাক-বাজেট আলোচনা শেষে ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান। এফবিসিসিআই সভাপতির নেতৃত্বে ১২টি ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা আলোচনায় অংশ নেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আজ ব্যবসায়ীরা তাদের মতামত, সমস্যা, প্রাপ্তিসহ সবকিছু আমাদের জানিয়েছেন। মূলত যে বিষয়গুলো উঠে এসেছে তার বেশির ভাগই ট্যাক্স রিলেটেড। অর্থ সচিবের নেতৃত্বে বাজেট নিয়ে আমাদের যে বাজেট টিম কাজ করে যাচ্ছে, আমাদের বাজেটের যে রূপরেখা আছে সেখানে তাদের পরামর্শ নিয়ে দেশের জন্য যেসব পরামর্শ উপযোগী ও কল্যাণকর সরকার সেগুলো বিবেচনায় নেবে। যে ধরনের দাবি এসেছে সেগুলো অযৌক্তিক বলব না, কারণ তাদের দাবির পরিমাণ এত বেশিই থাকে। আমরা কতটুকু দাবি মেনে নিতে পারব তা বাজেট টিম, ব্যাংক, এনবিআরসহ যারা আছেন তাদের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেব।’ করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে আসন্ন বাজেটে কোন বিষয়গুলো প্রাধান্য দেওয়া উচিত জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বাজেটের সব সময়ই একটা লক্ষ্য থাকে। এবারের যে লক্ষ্য তা হলো আমাদের অভ্যন্তরীণ (ডমেস্টিক) ইকোনমিকে আরও সমৃদ্ধ করা, আরও সম্প্রসারিত (এক্সটেনডেন্ট) করা। আমরা এ কাজগুলো করতে পারলে সবার হা-হুতাশ কমে যাবে, সবার কাছে টাকাপয়সা থাকবে। একদিকে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে রেভিনিউ জেনারেট করা। রেভিনিউ জেনারেট করতে গিয়ে যেন অন্য কোনো বিষয় মুখোমুখি চলে না আসে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হচ্ছে। আমাদের ডমেস্টিক ইন্ডাস্ট্রিকে আরও সমৃদ্ধ করতে চাই, এটি বিকশিত হলে আমাদের রেভিনিউ জেনারেশন সহজলভ্য হবে। তাদের হাত ধরেই একদিকে রেভিনিউ কালেক্ট করব অন্যদিকে কর্মসংস্থানও নিশ্চিত হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের কথা হচ্ছে দেশের সব মানুষ মূল্যবান সম্পদ। প্রত্যেক মানুষের জীবন-জীবিকা যাতে ব্যাহত না হয় সেজন্য সব সময় আমরা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কাজ করছি। তিনি সব সময় এ বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে দেখেন। আমি বিশ্বাস করি যা কিছু এখন দেশে-বিদেশে ঘটছে সে বিষয়ে আমরা অবগত। আশা করি সবাই মিলে এ সংকট কাটিয়ে উঠতে পারব।’ অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো বা কমানোর বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত। গতবার আমরা যে কাজগুলো করেছি তা তাঁর হয়ে করেছি। তিনি নিজে থেকে এ কাজগুলো আমাদের দিয়ে করিয়ে নিয়েছেন। এবারও নিশ্চয়ই তিনি আরও পরিকল্পনা করছেন, যেখান থেকে যেভাবে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা যায় সেগুলো তিনি করবেন।’ আলোচনায় দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) প্রেসিডেন্ট ড. রুবানা হক, বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) প্রেসিডেন্ট এ কে এম সেলিম ওসমান ও প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলী খোকন, বাংলাদেশ লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মো. সাইফুল ইসলাম, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবীর, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট রিজওয়ান রহমান ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এন কে এ মুবিন (এফসিএ), চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ওমর হাজ্জাজ, বাংলাদেশ ওমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট সেলিমা আহমাদ, ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই) প্রেসিডেন্ট রূপালী হক চৌধুরী, ওমেন এন্টারপ্রেনার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডব্লিউইএবি) প্রেসিডেন্ট শাহরুক রহমান ও প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট আসফা হোসাইন, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার অংশ নেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর